নিজস্ব প্রতিবেদক : গবাদিপশুরু ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্ত পথে বৈধ-অবৈধ সকল প্রকার গবাদির অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এর পাশাপাশি কুরবানির হাটবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর সরবরাহ ও নিরাপত্তানিশ্চিতকরণের যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়।
সভায় জানানো হয় সারাদেশে কুরবানিযোগ্য প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ গবাদিপশুর মজুদ রয়েছে, যার মধ্যে ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি । গতবছর ঈদে কুরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মোট সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ এবং কুরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখ।
এছাড়াও কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর ক্রয়-বিক্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা, বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পশুর গাড়ি ছিনতাই রোধ করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সভায় জানানো হয় দেশ মাংসে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের পর থেকে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। পূর্বে প্রতিবছর যেখানে ২৪-২৫ লাখ ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঘটতো সেখানে ২০১৮ সালে মাত্র ৯২ হাজার গরু ঢুকেছে দেশে।
আসন্ন ঈদে ঢাকাসহ দেশের উল্লেখযোগ্য হাটবাজারে পশুর স্বাস্থ্যসেবার লক্ষে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম মজুদ থাকবে। ঢাকায় ২টি সিটি কর্পোরেশনের আওতায় মোট ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কুরবানির হাটবাজারেও ২টি করে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ১৪টি এবং উত্তরের অধীনে মোট ১০টি হাটবাজার বসবে এবার। স্বাস্থ্যহানিকর স্টেরয়েড ও হরমোন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গরু মোটতাজাকরণ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যসম্মত মোটাতাজাকরণকে উৎসাহিত করতেও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো কাজ করবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী পশু ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদা আদায়সহ পশু বিক্রেতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত হাসিল-আদায়রোধ এবং বেপারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনের ওপর জোর দেন। তিনি সুন্দর ও নিরুদ্বিগ্ন ঈদ উদযাপনের লক্ষে সরকারি-বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থার কার্যকর সহযোগিতাও কামনা করেন।
আন্তঃমন্ত্রণালয়সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নাথুরাম সরকারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকরতাগণ অংশগ্রহণ করেন।