ঢাকা সংবাদদাতা: দেশ সবার, দেশ নিয়ে সবাইকে ভাবতে হবে, সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষকবান্ধব সরকার। কৃষকদের লাভবান করার জন্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। বর্তমান বোরো মৌসুমে কৃষি শ্রমিক সংকটের কারণে ধানের ওপর এর প্রভাব পরে। এই সমস্যা সমাধানে কৃষিকে পর্যায়ক্রমে শতভাগ যান্ত্রিকীকরণ করা হবে। এছাড়াও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করার কাজ চলমান। আমরা চাল রপ্তানি করতে যাচ্ছি। বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীগণ এখন এদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।
বুধবার (১৭ জুলাই) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি মন্ত্রণালয় তাঁর অফিসকক্ষে জাতীয় কৃষক সমিতি ও খেতমজুর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠককালে এসব কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ কৃষিমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের প্রত্যাশা ব্যক্ত করায় কৃষিমন্ত্রী তাদের সাথে এই বৈঠকে মিলিত হন।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার সরকার সব করবে। দেশ, জাতি, সমাজ, সংস্কৃতি এবং রাজনীতি সবই কৃষির সাথে সম্পৃক্ত। সুতরাং কৃষি খাতকে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের লক্ষ্য উন্নত বাংলাদেশের এবং সরকার সে পথেই যাচ্ছে জনগণকে সাথে নিয়ে। আমরা পুষ্টিমান সম্পন্ন উন্নত জাতের ফসল উৎপন্ন করবো। কৃষিকে প্রকৃত আধুনিক কৃষি করা হবে।
বৈঠকে নেতৃবৃন্দ ধানসহ কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা, সাইলো নির্মাণ, খেতমজুরসহ গ্রামীণ কৃষিজীবি ও নারিদের পেনশনসহ বেশ কিছু প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন। মন্ত্রী মনোযোগ সহকারে তাদের কথা শুনেন।
প্রতিনিধ দলে উপস্থিত ছিলেন, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, মাহমুদুল হাসান মানিক, নজরুল ইসলাম হাক্কানী, জাকির হোসেন রাজু ও আবুল মজিদ।