শনিবার , ফেব্রুয়ারি ২২ ২০২৫

দুধে এন্টিবায়োটিক মানেই খাওয়ার অযোগ্য নয়

‘‘মেধাবী জাতি গঠনে নিরাপদ দুধ: বর্তমান পরিস্থিতি ও দুগ্ধ শিল্প রক্ষায় করণীয়’’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন বাকৃবি ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি) : দুধে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেলেই সেই দুধ খাওয়া যাবে না, বিষয়টি ঠিক নয়। এর একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মানদন্ড ও সহনীয় মাত্রার বেশি পাওয়া গেলেই তা খাবার অনুপযোগী বলে গণ্য হবে। দুধে ক্ষতিকর অণুজীব, এন্টিবায়োটিক বা ভারী ধাতুর দূষণের জন্য মূলত খামারিদের অসচেতনতা, পরিবেশ দূষণ, কোল্ড চেইন বজায় না রাখা, অনিয়মতান্ত্রিক চিকিৎসা, অনিয়ন্ত্রিত অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার, কৃষিক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার দায়ী।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে গতকাল সোমবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটায় ‘‘মেধাবী জাতি গঠনে নিরাপদ দুধ: বর্তমান পরিস্থিতি ও দুগ্ধ শিল্প রক্ষায় করণীয়’’ শীর্ষক সেমিনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে এসব কথা বলেন সেমিনারে উপস্থিত বিশেষজ্ঞগণ।

বাংলাদেশে অতি সম্প্রতি দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে দেশব্যাপী উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জনমনে এক ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে আরো খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের আওতায় একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। গঠিত টাস্কফোর্স এর কার্য-পরিধি হবে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারী দেশের বিভিন্ন খামার, প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন স্থান হতে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে এর গুণগত মান নির্ণয় করা, অতি দ্রুত গবেষণালব্ধ ফলাফল সম্বলিত একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা এবং প্রাসঙ্গিক একটি সুপারিশ প্রদান করা।

টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ও ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান ও বাউরেস এর পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ও অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম।

সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, সুস্বাস্থ্যের জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২৫০ মিলিলিটার দুধ পান করা প্রয়োজন। এ দুগ্ধশিল্পের বিকাশের জন্য দেশে আদর্শ মানদন্ড তৈরি এবং দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের পরীক্ষার জন্য রেফারেন্স ল্যাবরেটরি গড়ে তুলতে হবে। প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা থাকতে হবে।

This post has already been read 4257 times!

Check Also

খাদ্য উপদেষ্টার সাথে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ (Syed Ahmed Maroof) খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের …