বিজ্ঞানের সুফল এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে এবং তাদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে শুরু হল ‘ইয়ুথ ফর সায়েন্স’ ক্যাম্পেইন। আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্নেল অ্যালায়েন্স ফর সাইন্স এর পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ (এফএফবি) ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করে।
শনিবার রাজধানীর সিক্স সিজন হোটেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ১১ টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকসহ বিশিষ্ট কৃষি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী, সরকারি কর্মকর্তা, কৃষি শিল্পের সাথে জড়িত ব্যাক্তিবর্গ ও দাতা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বছরব্যাপী বিভিন্ন সচেতনতামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ-ই তরুন। বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে মূলধারার বাইরে রেখে সার্বিক এবং টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে তরুণদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন তারই প্রমান। সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে খাদ্য ও কৃষি সম্পর্কিত উদ্ভাবনসহ বিজ্ঞান সম্পর্কিত নানা বিষয়ে জ্ঞান বৃদ্ধিতে এবং সম্পৃক্ত করতে তরুণদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
অনুষ্ঠানে ইরি’র ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, “ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের যে প্রতিকূলতা আছে, তরুণরা তাদের একাগ্রহতা ও সৃজনশীলতা ব্যাবহার করে তা কাটিয়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।‘’
বস্তুনিষ্ঠ তথ্য-প্রবাহের উপর জোররোপ করে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের এপিএ পোল সদস্য ও ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ’র উপদেষ্টা হামিদুর রহমান বলেন, “অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূরীকরণ ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কৃষিতে তরুণদের অংশগ্রহণ অনস্বীকার্য।‘’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তফাজ্জল ইসলাম ইয়ুথ ফর সায়েন্স এর সময়োপযোগীতার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘’বাংলাদেশের গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের গুরুত্ব দেয়া এবং এই খাতে সরকারি-বেসরকারি পৃষ্টপোষকতা জরুরী।‘’
ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের সিইও ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন বলেন, “ইয়ুথ ফর সায়েন্স কার্যক্রমের সাথে তরুনদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা উন্নয়ন তথা ক্ষমতায়ন এবং কৃষি বিজ্ঞান ও কৃষি বিষয়ক উদ্ভাবনকে সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।
ইয়ুথ ফর সায়েন্স কার্যক্রমের মুল লক্ষ্যগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, তরুনদের নেতৃত্বেদানের দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক বিজ্ঞান ক্লাব, ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা।
ইয়ুথ ফর সায়েন্স অংশগ্রহনকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, লিবারেল আর্টস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।