শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

ঈশ্বরদী উপজেলায় ৭ দিন ব্যাপি বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন

মো. এমদাদুল হক পাবনা (ঈশ্বরদী): বৃক্ষরাজি আল্লাহ তায়ালার অশেষ নেয়ামত, এ নেয়ামত না থাকলে পৃথিবীতে মানুষ এবং প্রাণির  বসবাস করা সম্ভব হতো না। আল্লাহ  বৃক্ষরাজি  ও ফুল দ্বারা পৃথিবীকে সাজিয়ে মানুষের বসবাস উপযোগী করে তুলে তুলেছেন। আমাদেরকে আল্লাহর এই নেয়ামত সঠিক কাজে লাগাতে হবে। পরিকল্পিত ভাবে বসতবাড়ির আশে পাশে রাস্তায়, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, অফিস আদালত সর্বত্র খালি জায়গায় বৃক্ষ রোপন করতে হবে। মানুষের শরীরের পুষ্টি, আর্থিক নিরাপত্তা, পরিবেশ সুরক্ষা, মাটির স্বাস্থ্য গঠন, ছায়া, মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ, সৌন্দর্য্যবর্ধন সহ সকল ক্ষেত্রে বৃক্ষ রাজির উপকারিতা অপরিসীম। তাই বৃক্ষরোপন কার্যক্রমকে সফল করার জন্য প্রত্যেকে একসাথে কাজ করতে হবে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় ঈশ্বরদী জেলা পরিষদ ডাকবাংলা চত্বর মাঠে অনুষ্ঠিত ৭ দিনব্যাপী  ফলদ বৃক্ষমেলা উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় (সাবেক ভূমী মন্ত্রী) সংসদ সদস্য শামসুর রহমান এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. নূরুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুল সালাম খাঁন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. আতিয়া ফেরদৌস কাকলী, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মাহামুদা মেতামাইন,উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার একলাছুর রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল লতিফ বলেন, বছর ব্যাপী ফল ফলাদি পেতে পরিকল্পিত ভাবে গাছ রোপণ করতে হবে। যাতে করে সারা বছর ফল পাওয়া যায়। মেলায় ১৫টি স্টলে সরকারী বেসরকারী ও এনজিও প্রতিষ্ঠান তাদের নার্সারীর উৎপাদিত বিভিন্ন ফুল, ফল ও বৃক্ষের চারা বিক্রির জন্য প্রদর্শন করেন। উদ্বোধনী  দিনে প্রচুর সংখক দর্শনার্থী চারা কেনার জন্য মেলায় ভিড় করে। উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি আতিয়ার রহমান বলেন, ভাল মানের ও জাতের চারা তৈরির কারিগর হচ্ছে নার্সারী। ভাল মানের চার পেতে হলে নার্সারীরর কজে যারা জড়িত রয়েছে তাদের প্রশিক্ষণের আবেদন জানান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঈশবরদী উপজেলার জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত চাষি আব্দুল বারি।

এর আগে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীর সমন্বয়ে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেলার মাঠে এসে শেষ হয়। উল্লেখ্য, বৃক্ষ মেলাটি বিগত বছরের চাহিদা অনুযায়ী এবার তিন দিনের পরিবর্তে বাড়িয়ে সাত দিন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোছা. রুখশানা কামরুন্নাহার।

This post has already been read 3842 times!

Check Also

ভেটেরিনারি ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভ্যাব) এর বিক্ষোভ সমাবেশ

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামলীগের বিদায়ের তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে …