রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

দুধে ভারী ধাতুর খবর সম্পূর্ণ সত্য নয়, তথ্য প্রকাশকারীদের গবেষণার সক্ষমতা নেই –কৃষি মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সময়ে দুধে ক্ষতিকর ভারী ধাতুর অস্তিতের যে খবর সব জায়গায় ছেয়ে গেছে তা সম্পূর্ণ সত্য নয়।  যারা এ তথ্য প্রকাশ করেছে তাদের গবেষণার সে সক্ষমতা নেই। তাই দুধের ব্যাপারে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআর সি) যে ৮টি দুধের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা করেছে এবং নমুনা ভারতের চেন্নাইতে  আন্তর্জাতিক মানের এসজিএস ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়, তাদের ফলাফল পাওয়া ও বিএআরসি’র ফলাফল একই। পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত যে ৮টি দুধ (মিল্ক ভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, ঈগলু, আরডি, সাভার ডেইরি ও প্রাণ) নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে তা মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোন পদার্থ পাওয়া যায়নি। বাকি যে ছোট বড় দুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি রয়েছে তাদের দুধের তেমন ক্ষতিকর কিছু নাও থাকতে পারে,তবে পর্যায়ক্রমে সব দুধের নমুনা পরীক্ষা করে এর ফলাফল সবাইকে জানানো হবে।

বুধবার (৩১ জুলাই) কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি তার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পুষ্টি ইউনিট,বিএআরসি কর্তৃক এন্টিবায়োটিক,সালফা ড্রাগ ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি বিশ্লেষণ ফলাফল নিয়ে অনুষ্ঠিত ’প্রেস ব্রিফিং’ এ  এসব কথা জানান।

ড. রাজ্জাক বলেন, পুষ্টি সমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা আমাদের চ্যালেঞ্জ। দেশে সহজলভ্য পুষ্টির মধ্যে রয়েছে দুধ। এখন গ্রামের মানুষ তেমন দুধ খায়না, বাজারে বিক্রি করে দেয়। সরকারের সদিচ্ছা ও বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে আজ দেশে দুধের উৎপাদন অনেক বেড়ে গেছে।

বিগত বছরগুলোতে ফল সবজি, মাছসহ খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন প্রয়োগ করা হয় বলে ব্যাপকভাবে প্রচার চালিয়েছে। ফলে মানুষের মধ্যে এর বিরূপ প্রভাব পরে, যার ফলে আর্থিক ক্ষতিসহ বৈদেশিক বাজারে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে এবং হচ্ছে। পরীক্ষাগারে এসব দুধ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় কোন দুধেই কোন প্রকার ভারী ধাতু যেমন লীড ও ক্রোমিয়ামের এর রেসিডিউ/অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়নি। কোন প্রকার সালফা ড্রাগ এর রেসিডিউ/অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়নি। শুধু মাত্র একটি নমুনায় Chlorampheenicol এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে প্রতি কেজিতে ০.০৬ মাইক্রোগ্রাম। কারো কারো মতে ০.১ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য। গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উৎপাদিত বাজারজাতকৃত দুধ পানে কোন প্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএআরসি হচ্ছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এপেক্স বডি । খাদ্যসহ যে কোন প্রকার আতংক বা বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য বিভিন্ন পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে শ্রীঘ্র দেশে এক্রিডেটেড ল্যাবরেটরী স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রেসব্রিফিং সঞ্চালনা করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান । এছাড়া বিএআরসি’র চেয়ারম্যান কবির ইকরামুল হকসহ মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আধিদপ্তরের ঊব্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 3633 times!

Check Also

বৈষম্যমুক্ত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতে কৃষিকে গুরুত্ব দিতে হবে -কৃষি উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন,  বৈষম্যমুক্ত অর্থনৈতিক উন্নয়ন …