মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা দ্রুততার সহিত কোন এলাকায় কোন যন্ত্রের কত চাহিদা তা জানাতে হবে। মাঠ পর্যায়ের প্রকৃত চিত্র মূল্যায়নের কাজ ও এলাকা চিহ্নিতকরণের করতে হবে। আমাদের জমির আকার ও মাটির ভিন্নতা রয়েছে। আমাদের মাটি ও জমির উপযোগি কৃষিযন্ত্র কৃষকের কাছে পৌছে দিতে হবে। কৃষি যন্ত্রের ক্ষেত্রে দামের দিকে গুরুত্ব নয় বরং মানের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক -এর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প বিষয়ে সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চাহিদার ভিত্তিতে কৃষিযন্ত্র সরবরাহ করতে হবে। ভালো টেকসই মেশিন এর দাম বেশি হলে সেটাই গ্রহণ করা হবে। কোম্পানির সাথে কথা বলে কৃষকদের জন্য সহজ কিস্তি সুবিধা দেয় যায় কিনা তাও দেখতে হবে। কাজটা কঠিন তবে সততার সাথে কাজ করলে সম্ভব। যন্ত্র মেরামতকারীগণ ও ব্যবহারকারীগণকে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রতিটি কোম্পানির যন্ত্রই পরীক্ষা করে মাঠে নামাতে হবে। সাথে সাথে এর মানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখছে কিনা তাও দেখতে হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে মাঠ পর্যায়ের এ সক্রান্ত তথ্য উপাত্ত জমা দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, কৃষককে কিভাবে লাভবান করা যায় তা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। গুনগতমান ও যন্ত্রের আকার একটা বড় ব্যাপার সেটা মনে রাখতে হবে। যন্ত্রের মেরামত ও খুচরা যন্ত্রাংশেরর নিশ্চয়তা এবং সহজলভ্যতা করতে হবে বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানকে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সনৎ কুমার সাহা (সম্প্রসারণ অনু বিভাগ), ড. মো. আব্দুর রউফ (পিপিসি অনুবিভাগ), বিএডিসি’র চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরেরর মহাপরিচালক, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রকল্পের বিষয় উপস্থাপন করেন কৃষি প্রোকৌশলী শেখ মো. নাজিম উদ্দিন।