নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘আপনারা আমাদের আসল হিরো। আপনাদের জন্য আমরা গর্বিত। আপনারা নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করতে ভুমিকা রাখবেন। আপনাদের উদ্ভাবন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। পদকপ্রাপ্তদের নিয়ে আগামীতে আরো বড় পরিসরে অনুষ্ঠান করা হবে হবে এবং কৃষিক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মর্যাদা এআইপি (এগ্রিকালচার ইমপোর্ট্যান্ট পার্স) দেয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিসের কনফারেন্স রুমে কৃষিক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এম.পি । ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ৪৯ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রথমবারের মতো এ সংবর্ধনা দেয়া হয়, এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার তাগিদ দেন মন্ত্রী।
কৃষিক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের সংবর্ধনা দেয় কৃষি তথ্য সার্ভিস। প্রতিবছর কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরপ কৃষি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার প্রদান করে থাকে । সংবর্ধনা অনুষ্ঠান প্রতিবছর বড় পরিসরে করা হবে।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।
এর আগে মন্ত্রী প্রতিষ্ঠানের নতুন প্রেস ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং কৃষি যোগাযোগ ও তথ্য সেবা কেন্দ্র, এআইএস টিউব (ডিজিটাল আর্কাইভ) ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি উদ্বোধন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অপর এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম ব্যক্তিদের সাথে বৈঠকে তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম নতুন নতুন উদ্ভাবন ছড়িয়ে দেয়ার জন্য গণমাধ্যমের সহায়তা চান তিনি। অপ্রচলিত দামি কৃষি পণ্য কাজুবাদাম ও কফি চাষ পদ্ধতি দেখার জন্য কৃষকদের ভিয়েতনামে পাঠানো হবে এবং গাছের চারা এনে কৃষদের মাঝে কম দামে বিতরণ করা হবে। কৃষির উন্নয়নের জন্য কঠোর হতে হলে হবো। কঠোর হওয়া ছাড়া সফল হওয়া যায়না।
দিনের শেষ ভাগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় সবাইকে আন্তরিকতার সাথে মাঠ পর্যায় হতে তথ্য উপাত্ত দ্রুত প্রেরণ করার নিদের্শ দেন তিনি। কৃষকের পাশে কৃষকের সাথে থেকে সেবা দিতে হবে জানান মন্ত্রী।