নিজস্ব প্রতিবেদক: মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম হলো খাদ্য। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার দেশের জনগণের এ মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে এবং এ তৎপরতা অব্যাহত আছে। ৪ শতাংশ হারে বাড়ছে দেশের কৃষির উৎপাদন। এখন লক্ষ্য হচ্ছে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা। সরকার সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আমরা একটি অ্যাক্রিডেটেড ল্যাব স্থাপন করতে যাচ্ছি। ফলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চয়তাসহ কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানির বাজার প্রসারিত হবে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এম.পি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে সার্ক কৃষি সেন্টার আয়োজিত “Food Safety in South Asia Region: current Status Policy Perspective and way-Forward” শীর্ষক পরামর্শক সভায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের এই অঞ্চলে ৭৫ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে। তাদের জীবন জীবিকা কৃষি নির্ভর, নিরাপদ খাদ্যের বিষয় এদেরকে সচেতন করতে হবে। নিরাপদ খাদ্যে ৩টি বিষয় রয়েছে এবং সেগুলো হলো- খাদ্যের সহজলভ্যতা, খাদ্য গ্রহণের সক্ষমতা ও নিরাপদ পুষ্টিকর খাদ্য। এজন্য আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়াতে হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। আয় বাড়াতে হলে কৃষির আধুনিকায়ন, বাণিজ্যিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাত অপরিহার্য। কৃষির দৃশ্যমান উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির জন্য কাজ করছি। আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো মোকাবেলা করেই লক্ষ্যে পৌঁছাবো। আমাদের দানাদার খাদ্য উৎপাদন ৪৪ লাখ মে.টন। চাল উৎপাদনে বিশে^ অবস্থান ৪র্থ, মাছে ৩য়, জলজসম্পদে ৫ম, শাকসবজিতে ৩য় স্থান, আলু উৎপাদনে ৮ম, আম উৎপাদনে ৭ম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. এস.এম বখতিয়ার, পরিচালক সার্ক কৃষি সেন্টার। সম্মেলনরে বিষয় বস্তু এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা করেন আতাউর রহমান মিল্টন, সাধারণ সম্পাদক বিএসএএফই ফাউন্ডেশন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. দেবাশিস মজুমদার সিনিয়র রিসার্স সাইন্টিটস। মুল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. নাসিরুজ্জামান,সচিব কৃষি মন্ত্রণালয়।