নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘বাংলাদেশের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি উদ্বেকজনক। পানি থেকে আর্সেনিক ফসলে এবং ফসল থেকে মানব দেহে প্রবেশ করে। আর্সেনিক মানুষের ফুসফুস, কলিজাসহ ক্যান্সার রোগের সৃষ্টি করে।’ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এম.পি’র সাথে আসিডিডিআরবি’র প্রতিনিধি দল দেখা করে এসব কথা জানান। এ সময় মন্ত্রীকে তাঁরা তাদের ল্যাব পরিদর্শনের আহবান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় আমরা অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব স্থাপন করবো সেক্ষেত্রে আসিডিডিআরবি’র ক্যামিস্টদের সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
কৃষি মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষির উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে লাভজনক করার জন্য যান্ত্রীকীকরন অপরিহার্য। যান্ত্রীকীকরনের পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকরণ জরুররি। আমরা খাদ্যে উদ্বৃত্ত, উদ্বৃত্ত কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানি দিকে নজর না দিলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে যা মোটেও কাম্য নয়। আমাদের রপ্তানির প্রধান অন্তরায় ছিল অ্যাক্রিডেটেড ল্যাব। ঢাকায় ইতোমধ্যে ল্যাব স্থাপনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পূর্বাচলে দুই একর যায়গা দিয়েছেন। এই জায়গা থেকেই পরীক্ষা করা ও প্যাকেটজাত করে সরাসরি বিমান বন্দরে প্রেরণ করা হবে। এর ফলে রপ্তানির বাজার প্রসারিত হবে। এছাড়া বিদ্যমান ল্যাবগুলোকে আধুনিক করা হবে। এর ফলে জনগণের নিরাপদ খাদ্য অনেকাংশে নিশ্চিত হবে।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন আসিডিডিআরবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. জন ক্লিমেন্স, জ্যৈষ্ঠ পরিচালক ড. অ্যালেন রোজ, উপ নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ মঞ্জুুরুল ইসলাম এবং জ্যৈষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. রুবহানা রাকিব।
এর আগে দিনের শুরুতে কৃষি মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন কোরিয়ান কৃষি যন্ত্রপাতির একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় তারা বাংলাদেশে একটি ট্রাক্টর প্রস্তুতের একটি কারখানা স্থাপনের আগ্রহ দেখান। কারখানা স্থাপন ও কোরিয়া থেকে মালামাল আনার জন্য প্রশাসনিক সহায়তা চান। মন্ত্রী তাদের সহায়তার আশ্বাস দেন।
এছাড়াও কৃষি মন্ত্রীর সাথে এআর মালিক সিডস (প্রা.) লিমিটেড এর একটি প্রতিনিধি দল দেখা করেন।