মো. খোরশেদ আলম (জুয়েল): ব্রিড অনুযায়ী সঠিক ফিড না দেয়ায় এবং পর্যাপ্ত সময় পর্যন্ত ফার্মিং না করার কারণে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হোয়াইট ব্রয়লারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে ব্রয়লার মুরগি তার বাজার হারাচ্ছে। বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে হলে ফিরিয়ে আনতে হবে ব্রয়লারের আগের সেই স্বাদ।
শনিবার (৩১ আগস্ট) ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা’র সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি আবু লুৎফে ফজলে রহিম খাঁন।
তিনি বলেন, সেজন্য আমদানীকৃত ক্ল্যাসিক (Classic) ও রোবাস্ট এডভান্স (Robust Advance) এর স্ব স্ব নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ফার্মিং করতে হবে এবং সেই সাথে অতিরিক্ত উচ্চ ঘনত্বের ফিড পরিহার করতে হবে।
আবু লুৎফে ফজলে রহিম খাঁন বলেন, ২০১৮-২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পে এক বিপ্লব ঘটেছে। ২০১৮-২০১৯ সালে আমাদের দেশীয় উদ্ভাবন সোনালী মুরগির চাহিদা বেড়ে ব্রয়লারের কাছাকাছি চলে এসেছে। এটি পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নের জন্য একটি ইতিবাচক দিক বটে। কিন্তু বর্তমানে দেশে বিশৃঙ্খলভাবে ফার্মগুলোতে সোনালী মুরগি উৎপাদন করার কারণে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে জৈব সুরক্ষা (বায়ো সিকিউরিটি) বিঘ্নিত হচ্ছে এবং এর পাশাপাশি এখন মানবদেহও হুমকির সম্মুখীন।
তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে এর চাহিদাকে সমুন্নত রেখে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সুপরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচর্যার মাধ্যমে এর উৎপাদন বৃদ্ধিকরতে হবে। এক্ষেত্রে সোনালী ফার্ম রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সফলভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ওয়াপসা-বিবি, বিপিআইসিসি, এবং অন্যান্য সংগঠনকে একত্রিত হয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।