নিজস্ব প্রতিবেদক: “জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নর্থ ইন্ড প্রাইভেট লিমিটেড মনে করে বাংলাদেশে এখন বিশ্ব মানের কফি উৎপাদিত হচ্ছে। বিগত দুই বছর যাবত সম্পূর্ণ বাংলাদেশের কফি বাজারজাত করছি এবং রপ্তানিও করছি। ”
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির (নর্থ ইন্ড) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. রিক হার্বাড কৃষি মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এম.পি’র সাথে দেখা করে এসব কথা বলেন। রিক এ সময় কফি রপ্তানির ক্ষেত্রে ডিউটি ফি কমানোর অনুরোধ করেন মন্ত্রীকে।
মি. রিক জানান, কৃষিজাত পণ্যের মতো কফির ক্ষেত্রেও প্রণোদনার ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন মন্ত্রী।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, আমরা কফি উৎপাদন করছি এবং এটার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। এর জন্য আমরা কিছুসংখ্যক কৃষকদের ভিয়েতনামে পাঠাবো হাতে কলমে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। আমরা চাই কৃষিজাত পন্য রপ্তানি করতে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে। এছাড়া ভিয়েতনাম থেকে উন্নত জাতের কফি চারা এনে দেশে চাষ করা হবে।
তিনি বলেন, ধান নির্ভর কৃষির পাশাপশি অপ্রচলিত লাভবান কৃষির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না ফলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এজন্য কফি, কাজুবাদাম, অ্যাবোকাডোসহ বিভিন্ন অধিক মূল্যের ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে কৃষকদের।
রিক হার্বাড জানান, ২০১১ সালে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কৃষকদের মাধ্যমে ৫০০টি কফি গাছের চারা দিয়ে কফি চাষ শুরু করে কোম্পানিটি। বর্তমানে সাজেক ভ্যালিসহ তাদের মোট গাছের সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। এছাড়া কফি প্রসেসিং মেশিন এর দাম ছিল ৫শ’ ডলার বর্তমানে FAO এই মেশিন ফ্রি দিচ্ছে।
কফি চাষ পরিবেশের জন্য উপযোগি, পানি কম লাগে, পোকামাকড় ও রোগজীবাণূর আক্রমণ নেই। গাছটি ৩ বছর বয়স থেকে ফলন দেয় এবং ৯০ বছর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে- জানান প্রতিনিধি দল।