নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে আমিষের জোগানে পোলট্রি শিল্পকে অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে। পোলট্রি শিল্প বিকাশে জীব নিরাপত্তা বিশেষ ভূমিকা পালন করে সব সময়। পোলট্রি পালনে মূল সমস্যা হচ্ছে খামার ব্যবস্থাপনা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ রোগ প্রতিরোধ করা। যদি খামার ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা অর্জন করা যায় তবে পোলট্রি পালন লাভজনক হয়। খামার ব্যবস্থাপনার মূল বিচার্য বিষয় হচ্ছে খামারে জীব নিরাপত্তা জোরদার করা।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ওয়েস্টিনে হোটেল আয়োজিত ৩ দিন 7th Annual South Asia Biosafety Conference এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রী বলেন; বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বায়োসেফটি রুলস অব বাংলাদেশ ২০১২ এবং বায়োসেফটি গাইড লাইন অব বাংলাদেশ ২০০৮ প্রণয়ন করেছে। আমাদের রোগ প্রতিরোধের সব চাইতে সহজ ও কার্যকরী উপায় হচ্ছে জীব নিরাপত্তা । বসতবাড়ী হতে খামাড় সব যায়গাতেই জীব নিরাপত্তা অর্থাৎ রোগের জীবাণু প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি বলেন, আধুনিক জীবপ্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়ন এবং এর ব্যবহার উৎপাদিত পণ্য পরিবহন, আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে পূর্ব সতর্কাতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ জীব বৈচিত্র সনদের আওতায় গ্রহীত জীবনিরাপত্তা বিষয়ক কার্টাহেনা চুক্তি অনুযায়ী জীব নিরাপত্তা বিধানের বিষয়ে প্রতিশ্রুতবদ্ধ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৭০ টি দেশ কার্টাহেনা চুক্তিতে সাক্ষর করেছে। জীব নিরাপত্তার ব্যাপারে বাংলাদেশ সব সময় সচেষ্ট।
তিনি আরো বলেন, আধুনিক জীব প্রযুক্তির অপার সম্ভাবনা ও সুফলের পাশাপাশি পৃথিবীব্যাপী এর ঝুঁকির বিষয়ে চলছে নানা গবেষণা আর জল্পনা কল্পনা। জীববৈচিত্র্য আর মানব স্বাস্থ্য অটুট না থাকলে আমাদের পিছিয়ে পড়তে হবে। প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সকল গবেষণা এবং এর প্রয়োগ যাতে মানুষ ও অন্যান্য জীবের কল্যানে লাগে সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ড. বিভা আহুজা, চিফ জেনারেল ম্যানেজার, বায়োটেক কনসোর্টিয়াম ইন্ডিয়া লিমিটেড, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মহসিন চৌধুরী ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।