নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বৈরি আবহাওয়ায় কৃষি আজ ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য দায়ী জলবায়ু পরিবর্তন। যে কারণে আমাদের ওপর প্রায় ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানছে। সে সাথে যুক্ত হচ্ছে খরা, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি এবং অসময়ে বৃষ্টিপাত। আর এগুলোই শস্যের ক্ষতির আশংকা। তবে এসব দুর্যোগের অগ্রিমবার্তা কৃষকের দ্বারে পৌঁছানোর মাধ্যমে ফসলের ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বরিশাল নগরীর খামারবাড়িস্থ ডিএই সম্মেলনকক্ষে দিনব্যাপী এক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক সাইনুর আজম খান এসব কথা বলেন।
কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ডিএই বরিশালের উপপরিচালক হরিদাস শিকারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ গোলাম মো. ইদ্রিস এবং প্রকল্প পরিচালক মঝহারুল আজিজ।
ঝালকাঠির জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন, ডিএই পটুয়াখালীর উপপরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সাব্বির হোসেন, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল আক্তার, মুলাদীর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রেজাউল হাসান, আগৈলঝড়ার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাসিরউদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ডিএই, কৃষি তথ্য সার্ভিস, ব্রি, বারি, বিনা, বিএডিসি, এসসিএ, বিএসআরআই, বিজেআরআই, এটিআই, হর্টিকালচার সেন্টার এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৮৭ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।