মো. খোরশেদ আলম জুয়েল: দেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ডিম বাণিজ্য হয়। আগামীতে এ পরিমাণ আরো বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ১০৯৯.৫২ কোটি, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১১৯১.২৪ কোটি, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৪৯৩.১৬ কোটি, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৫৫১.৬৬ কোটি, এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৭১০.৯৭ কোটি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ১৭৮১ কোটি ডিম উৎপাদিত হবে বলে অধিদপ্তর থেকে আশাবাদ ব্যাক্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রায় ৮,৩৩৮.৬৮ কোটি টাকার ডিম কেন্দ্রিক বাণিজ্য হয়েছে। পরবর্তী অর্থবছরগুলোতে এ পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১০,৪৫২ কোটি, ১০,৮৬১ কোটি এবং ১১,৯৭৬ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ নাগাদ প্রায় ১২,৪৬৭ কোটি কিংবা তারও অধিক টাকার অর্থিক লেনদেন হবে ডিম কে কেন্দ্র করে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, এম.পি জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে ডিমের মাথাপিছু ডিম খাওয়ার পরিমান ছিল ১০৩টি। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাথাপিছু এটির পরিমান ১০৫টিতে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ অর্জনের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভূটান প্রভৃতি দেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। একে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বড় একটি সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বলে, ডিম নিয়ে যে সব অপপ্রচার আছে তা দূর করতে পারলে ডিম খাওয়ার পরিমান আরো বাড়বে। ফলে ডিমের উৎপাদন বাড়বে এবং সেই সাথে অপুষ্টির হার কমবে। তবে উৎপাদনের ক্ষেত্রে নিরাপদ বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।