নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে। তাই সবাইকে জবাবদিহীতার আওতায় আসতে হবে। বিএডিসি তেও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নতুন নতুন প্রযুক্তি ও জাত উদ্ভবন করে মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছাতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সম্মান বৃদ্ধির জন্য সততা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। মৃক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ৫৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানেকৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এম.পি এসব কথা বলেন। দিনের শুরুতে বিলুন উড়িয়ে দিবসের শুভ সুচনা করেন এবং দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত মেলার স্টল পরিদর্শন করেন। পরে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্যাল উন্মোচন করেন ও ইলেকট্রনিক গেট এবং ভবনের দশম তলায় বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, চাষা বলে একসময় অভিযাত শ্রেণীর লোকেরা মানুষকে ভৎসর্না করতো। কালের বিবর্তনে আজ অভিজাত শ্রেণীর শিক্ষিত লোকেরা গর্ব করে কৃষিকাজের নিজের সম্পৃক্ততার কথা বলেন। কিন্তু বর্তমানে কৃষি শ্রমিকরা যে পারিশ্রমিক পায় তা দিয়ে তাদের জীবন চলা দায়। কৃষির আধুনিকায়ন ও বাণিজ্যিকীকরণই কৃষকদের আশার আলো দেখাবে। সেই সাথে কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করতে হবে। অপ্রচলিত অধিক মূল্যেও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ৭৫ পরবর্তী সরকার গণতন্ত্রের মূখোশ পরে দেশ ও জনগণকে শোষণ করেছে। এদেশের কৃষকরা সারের জন্য জীবন দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কৃষকের ঘড়ে ঘড়ে সার পৌঁছে দিয়েছেন, সার নিয়ে কৃষকদের মধ্যে কোনো উৎকন্ঠা নেই। সারের মূল্য কমিয়ে কৃষকদের হাতের নাগালে রেখেছেন। এছাড়া কৃষি যন্ত্রপাতি, বীজসহ বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা প্রদানের ফলে দেশের কৃষির সাফল্য বিশ্ব স্বীকৃত। সরকারের লক্ষ্য ছিল খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণতা অর্জন, তা হয়েছে। এমডিজি’র গোল অর্জিত হয়েছে। এখন পালা এসডিজি’র গোল অর্জনের, ইতোমধ্যে ক্ষুধামুক্ত হয়েছে দেশ। এখন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পুষ্টিকর নিরাপদ খাদ্য এবং তাও ২০৩০ সালের আগেই অর্জিত হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দিয়ে বলেছিলেন আমার মান রাখিস,কৃষিবিদরা তার মার রেখেছে রাখবে; মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরও মান রাখবে। তাহলেই এসডিজি’র লক্ষ্য মাত্রা ২০৩০ সালের আগেই অর্জন করতে পারবো।
বিএডিসি’র চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কৃষি সচিব ড. এস এম নাজমুল ইসলাম,কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান ও সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান।