বুধবার , জানুয়ারি ২২ ২০২৫

বাকৃবি ভিসি’র ব্লাস্ট ও লিফব্লাইট প্রতিরোধী নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন

বাউ ধান-৩ এবং উদ্ভাবক বাকৃবি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু (বাকৃবি) : বোরো মৌসুমে চাষ উপযোগী উচ্চফলনশীল আগাম ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভাইস-চ্যান্সেলর ও কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। নতুন এই জাতের ধানের নাম রাখা হয়েছে বাউ ধান-৩। ধানের এ জাতটি দেশে জনপ্রিয় ব্রি ধান-২৮ এর বিকল্প হতে পারে বলে দাবি করেছেন গবেষক প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। সম্প্রতি জাতীয় বীজ বোর্ডে এ জাত নিবন্ধিত হয়েছে। ধানের এ জাতটি ব্লাস্ট ও লিফব্লাইট প্রতিরোধী বলে জানা গেছে।

নতুন উদ্ভাবিত জাতটি সম্পর্কে প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বর্তমানে ধানের নেকব্লাস্ট আক্রমণের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ধান উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের ধানের উৎপাদন ঠিক রাখতে হলে বিকল্প জাতের দরকার হবে। এই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) থেকে একটি ‘কৌলিক সারি’ এনে এসিআইয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গবেষণা করা হয়। ব্লাস্ট ও লিফ ব্লাইট প্রতিরোধী এবং ফলন ব্রি ধান-২৮ থেকে বেশি হওয়ায় বাউ ধান-৩ নামে অবমুক্ত করা হয়। তিনি আরও বলেন, এই জাতটি আগাম এবং ফলন ব্রি ধান-২৮ এর চেয়ে বেশি হওয়ায় লবাণাক্ত এলাকা ছাড়া হাওড়াঞ্চলসহ দেশের প্রায় সকল অঞ্চলে চাষ করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, এই জাতের ধানে আধুনিক উচ্চ ফলনশীল ধানের সব বৈশিষ্ট্য আছে। নতুন এ জাতের হেক্টর প্রতি গড় ফলন ৭-৮ মেট্রিক টন, যা ব্রি ধান-২৮ এর চেয়ে ১-২ মেট্রিক টন বেশি। উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ এ জাতের ধান পাকা অবস্থায় শিষ হতে সহজে ঝরে পড়ে না বলে অপচয় কম হয়। জাতের ডিগ পাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা। পাতার রং সবুজ। রান্না করা ভাত ঝরঝরে ও খেতে সুস্বাদু।

This post has already been read 5872 times!

Check Also

নীলফামারীতে আগাম আলু তোলা শুরু, মাঠেই বিক্রি ৯০ টাকা কেজি

নীলফামারী সংবাদদাতা: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আগাম আলু তোলা শুরু করেছেন কৃষকরা। আলু উৎপাদন করে ভাগ্য বদলের …