নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল) : কৃষকদের দরকার আরো প্রশিক্ষিত করা দরকার। জমি কমছে, যোগ হচ্ছে মানুষের সংখ্যা। সে সাথে বাড়ছে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব। এসব মোকাবেলা করেই শস্যের ফলন বাড়াতে হবে। যেহেতু চাষিরা ফসলউৎপাদনের কারিগর, তাদেরকেই প্রয়োজনে প্রযুক্তি ভান্ডারে পরিণত করতে হবে। আর সে ক্ষেত্রে বাড়াতে হবে কৃষি বিভাগের জনবলের দক্ষতা। এজন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। সোমবার (১৪ অক্টোবর) বরিশাল নগরীর ডিএই সম্মেলনকক্ষে ‘উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ’ প্রকল্পের দিনব্যাপী এক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) পরিচালক (প্রশিক্ষণ উইং) ড. আলহাজ উদ্দিন আহম্মেদ এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডিএইকে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যাবে।
ডিএই আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. তাওফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ গোলাম মো. ইদ্রিস এবং প্রকল্প পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী।
ঝালকাঠির জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশালের উপপরিচালক হরিদাস শিকারী, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জেড়াল্ড অলিভার গুডা, পটুযাখালীর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম, ভোলার অতিরিক্ত উপপরিচালক মনোতোষ সিকদার, আগৈলঝড়ার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাসিরউদ্দিন, নলছিটির উপজেলা কৃষি অফিসার ইসরাত জাহান মিলি, মেট্টোপলিটন কৃষি অফিসার ফাহিমা হক, পাথরঘাটার উপজেলা কৃষি অফিসার শিশির কুমার বড়াল, পটুয়াখালী সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মার্জিন আরা মুক্তা প্রমুখ ।
অনুষ্ঠানে ডিএই, কৃষি তথ্য সার্ভিস, এসসিএ, এটিআই, এবং হর্টিকালচার সেন্টারের ৫৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।