রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

কৃষিকে বাঁচাতে জলবায়ু সহিষ্ণু প্রযুক্তির বিকল্প নেই

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাস্টেইনেবল এগ্রিকালচার’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি): বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে যেসব দেশ রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের কৃষি, জীব-বৈচিত্র্যে ক্ষতিকর প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে। এর প্রভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের কৃষি হুমকির মুখে পড়বে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়েই চলেছে। এতে উজানের নদীর পানিতে বাড়ছে লবনাক্ততা যা ফসলি জমিতেও ছড়িয়ে পড়ছে। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাড়ছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা, কমছে বৃষ্টির পরিমান। তাই দেশের কৃষিকে বাঁচাতে হলে জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি প্রযুক্তির বিকল্প নেই। উন্নত কৃষি গবেষনার মাধ্যমে জলবায়ু সহিষ্ণু বিভিন্ন শষ্যের জাত উদ্ভাবন এবং তা মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেশের কৃষিকে বাচানো সম্ভব।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাস্টেইনেবল এগ্রিকালচার’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন এসিআই এগ্রিবিজনেস -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. এফ এইচ আনসারী।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এবং মালয়েশিয়ার সাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধনী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বাংলাদেশসহ ৯টি দেশের ২৪জন বিদেশী প্রতিনিধিসহ দুইশতাধিক বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। বাউরেস পরিচালক এবং আর্গানাইজিং কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. এম.এ.এম ইয়াহিয়া খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য সিনিয়র সচিব প্রফেসর ড. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসিআই এগ্রিবিজনেস এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও ড. এফ. এইচ. আনসারী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. নূর আহমেদ খন্দকার, প্রফেসর ড. মাহফুজুল হক এবং প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসাইন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী আর্কিটেক ইয়াফেস ওসমান বলেন, কৃষিতে বাংলাদেশ খুব দ্রুত উন্নতি করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যতে কৃষিতে আমাদের যে চ্যালেঞ্জ তা মোকাবেলায় সরকারি ও বেসরকারী সকল কৃষি গবেষকদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

This post has already been read 3201 times!

Check Also

পরিবেশ সুরক্ষা ও পানি সাশ্রয়ে এডব্লিউডি সেচ পদ্ধতি

ড. এম আব্দুল মোমিন: ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। আউশ, আমন  বোরো মৌসুমে আমাদের দেশে ধান …