কৃষকের উৎপাদিত পণ্য যখন বাজারে নিয়ে যায় তখন একই পণ্য আমদানি করা হলে, কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে ক্ষেত্রে ফসলের উৎপাদন সময় ও বাজারজাতের সময় এবং চাহিদার সাথে উৎপাদন নিরুপণ করে সময় অনুযায়ী আমদানির অনুমোদন দেয়া প্রয়োজন। যে কোন কৃষি পণ্য উৎপাদনের সময় ঐ পণ্য আমদানির অনুমোদন দেয়া বন্ধ রাখতে হবে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জমান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চাল, গম, ভুট্টা, আম, মৌসুমভিত্তিক শাক-সবজি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা বাজারজাতকরণের নিমিত্তে উৎপাদন ও আমদানি সামঞ্জস্যতা নির্ধারণের বিষয়ে সভায় এসব কথা বলেন।
কৃষি সচিব বলেন, কৃষিকে লাভজনক এবং কৃষককে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এখন থেকেই পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানির জন্য প্রয়োজন নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন এবং এজন্য অ-অনুমোদিত কীটনাশক বাজারে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। কন্ট্রাক ফার্মের মাধ্যমে কৃষিপণ্য উৎপাদন করে একদিকে যেমন নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি হবে অপরদিকে রপ্তানির বাজার প্রসারিত হবে। সীমান্তবর্তী জেলার জেলা প্রশাসকদের পদক্ষেপ নিতে হবে।
এছাড়াও কৃষি কর্মকর্তাদের অ-অনুমোদিত কীটনাশক বিক্রি রোধে সক্রিয় থাকতে হবে এবং প্রতিনিয়ত কীটনাশকের স্যাম্পল পরিক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করতে হবে। কৃষি পণ্যে বিদ্যমান ক্ষতিকর উপাদান কিভাবে ভোক্তা পর্যায় রোধ করা যায় সে ব্যপারে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করার তাগিদ দেন তিনি।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, কৃষি পণ্যে ভারী ধাতুর উপস্থিতি উদ্বেগের বিষয়। কীটনাশক আমদানি পর্যায়ে ল্যাব টেস্ট -এর কোন ব্যবস্থা নেই, ল্যাব টেস্ট বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ,মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত দপ্তরের দপ্তর প্রধানগণ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য, বিএসটিআই, পরিসংখ্যান বুরে্যার প্রতিনিধসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।