কৃষিতে আমাদের এখনো অনেক কিছু করতে হবে।কৃষক লীগ করতে হলে কৃষকের দরদ বুঝতে হবে,কৃষিকে ভালোবাসতে হবে।কৃষকের কল্যাণে সময়োপযোগী,বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে অবিচল নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে নিজেকে আত্মনিয়োগ করা কৃষক লীগের নেতা কর্মীদের দায়িত্ব।
কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগের উদ্যোগে ‘কৃষক বাচাও, দেশ বাচাও’ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রী আরও বলেন;কৃষিতে ব্যাপক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যেভাবেই হোক কৃষিতে আরও সাফল্য আনতে হবে। কৃষির আধুনিকায়ন তথা যান্ত্রিকীকরণ,বাণ্যিজিকীকরণ এবং বাজারজাতই কৃষির উন্নয়ন অগ্রযাত্রার নিয়ামক। সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে কৃষিতে অভুতপুর্ব উন্নতি হয়েছে। অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে আরো উন্নতি ঘটানোর জন্য পুরোপুরি যান্ত্রিকীকরণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
কৃষি যেভাবে অগ্রসারমান তাতে আগামীতে আরো উন্নীত হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কৃষির বিস্ময়কর উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন। বিশেষ করে একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল চাষে বিশ্বের মধ্যে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। কৃষিজমির বিপরীতমুখী চাপ সত্তেও বাংলাদেশের বর্তমান খাদ্যশস্য উৎপাদন বেড়েছে বলেন কৃষি মন্ত্রী।
তিনি বলেন; উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে,কৃষি ও কৃষকের পাশে দাড়াতে কৃষক লীগের প্রত্যেক নেতা কর্মীকে ভূমিকা রাখতে হবে। সবাইকে সজাক থাকতে হবে,সংগঠিত হয়ে থাকতে হবে যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায়। দূর্নীতি দূবৃত্তায়নের পথে যারা রয়েছে তাদের সঠিত পথে ফিরে আশার আহবান জানান তিনি।সংগঠনের সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন
মোল্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী;কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক রেজা।সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক লীগের সহ-সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।