পাবনা সংবাদদাতা: কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পেতে শুধু ধান আবাদ নয়, এর পাশাপাশি ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী , কলা, লিচু এসবের আবাদ বাড়াতে হবে। কৃষক-কিষানীদের অনুরোধ করে তিনি বলেন, আধুনিক চাষাবাদে জৈব বালাইনাশকের ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি করে বাজারজাতকরণে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার ইস্তা গ্রামে আয়োজিত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত রোপা আমন প্রদর্শনীর ব্রি ধান-৮০ কর্তন, প্রচার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এক মাঠ দিবসেম প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল মুঈদ অনুষ্ঠিত হয়। ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজন উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে কৃষি শ্রমিকের সংকট নিরসন করতে সরকার ভূর্তুকিতে দলবদ্ধ কৃষককে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করছে। বর্তমান অবস্থাতে খামার যান্ত্রিকীকরনের কোন বিকল্প নেই, কৃষি যান্ত্রীকীকরণের ব্যবহার দ্রুত বিস্তার ঘঠাতে হবে, তাহলেই কৃষক তথা জাতি সমৃদ্ধ হবে এবং অচিরেই দেশ সমৃদ্ধশালী হবে। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষকদের আর্থ সামাজিক অবস্থা মজবুত করণের লক্ষে নানাবিধ কর্মসূচী উতোমধ্যে বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পাবনাস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আজাহার আলী -এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল মুঈদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদীর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট -এর অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম, বগুড়া অঞ্চল -এর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আকম শাহারীয়ার ও ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আনিসুর রহমান আদম এর জাত প্রদর্শনী প্লটের ধান আগত চাষীদের দেখানো হয় এবং প্রদর্শণী প্লটের ধান নমুণা কর্তন করে ঝাড়াই-মাড়াই শেষে হেক্টর প্রতি প্রায় ৪.৫-৫.০ মে.টন ফলন রেকর্ড করা হয়। আগত চাষীদের এবং ছাত্র-ছাত্রী সকলেই এ জাতটি আবাদের সম্মতি জ্ঞাপন করেন ।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আব্দুল লতিফ বলেন, রোপা আমন প্রদর্শনীর ব্রি ধান-৮০ কর্তন, প্রচার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জাতটি পরিচিতি, জাতের বৈশিষ্ট্য, জীবনকাল, চাষবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বিশেষ অতিথির হিসেবে বক্তব্যে বক্তব্য রাখেন, উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আজাহার আলী ,অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আ ক ম শাহারীয়ার, ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ। অন্যান্য অতিথি মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পদক প্রাপ্ত কৃষানী নূরুন্নাহার বেগম, পেপেঁ বাদশা শাহাজান আলী, কৃষক জুলহাসউদ্দীন ও আনিসুর রহমান আদম।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাবনা কৃষি তথ্য সার্ভিস, আঞ্চলিক অফিসের আঞ্চলিক কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ প্রশান্ত কুমার সরকার, পাবনাস্থ সকল উপজেলা কৃষি অফিসার বৃন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার বৃন্দ, কৃষি তথ্য সার্ভিস আঞ্চলিক অফিস পাবনার সহকারী তথ্য অফিসার (অ:দা), এআইসিও এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ,উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে র্কমরত উপসহকারী কৃষি র্কমর্কতাগণ, ঈশ্বরদীর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ১০০ জন ছাত্র-ছাত্রী ও ৫০০ জন কৃষক/কৃষানী।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সুধীজনদের মাঝে কৃষানী নরুন্নাহার বেগম তাঁর নিজ হাতে বানানো নবান্ন উৎসবের বিভিন্ন রকমারী পিঠা পরিবেশন করেন।