কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিলেবাস ও কারিকুলাম যুগপযোগী করা প্রয়োজন। উচ্চতর শিক্ষাদান ও ডিগ্রী প্রদানের ক্ষেত্রে কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যুগপযোগী ও বাণিজ্যিক কৃষি কৌশল জ্ঞান সম্বলিত সিলেবাস প্রণয়ন এখন সময়ের দাবী।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষির আধুনিকায়ণের উদ্দেশ্যে কৃষি গবেষণা ও গবেষণালব্দ জ্ঞান প্রয়োগের বিষয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্য এবং দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণের সাথে মতবিনিময় সভা তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি কলেজ এবং কৃষিবিদগণ বাংলাদেশের সামগ্রিক কৃষি উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। তাদের অবদানের জন্য কৃষিতে আজ দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি বলেন, কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও দেশের পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে বর্তমান প্রজন্মকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
ড. রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কৃষিখাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার রুপকল্প ২০২১ ও রুপকল্প ২০৪১ এর আলোকে জাতীয় কৃষিনীতি, ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট, ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ এবং অন্যান্য পরিকল্পনা দলিলের আলোকে সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পরিকল্পনাসমূহর বাস্তবায়ন ও কৃষির অগ্রগতিকে সমুন্নত রাখতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
উৎপাদিত কৃষিপণ্যের রফতানির বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, খোরপোষ কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তর করে রফতানির উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য কৃষিবিদদের ইইউ আইন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আইন, আইপিপিসি, আইএসপিএমআর, উদ্ভিদ সংগনিরোধ আইন ও বিধিমালার সম্পর্কিত বাণিজ্যিক কৃষি জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন। উল্লেখিত বিষয়াদি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কারিকুলামে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য উপাচার্যগণের ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সুদৃষ্টি কামনা করেন কৃষিমন্ত্রী।
মতবিনিময় সভায় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানসহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্য, কৃষিমন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।