রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

থাইল্যান্ডকে ভিসা জটিলতা দূর করার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ডে যেতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতা দূর করার অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রী মন্ত্রী ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক এম.পি। সোমবার (২ ডিসেম্বর) থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত Arunrung Phothong Humphreys কৃষি মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এ অনুরোধ জানান।

কৃষি মন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড পর্যটন ও চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পারে। ইতিমধ্যে থাইল্যান্ডের বিপুল সংখ্যাক বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইচ্ছা পোষণ করেছে। অনেকেই বিনিয়োগ করেছেন। থাইল্যান্ডের পণ্য ও সেবার প্রতি বাংলাদেশিদেরও আগ্রহ রয়েছে। থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত সেক্টরে থাইল্যান্ডের উন্নতির কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে এক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে। থাইল্যান্ডকে ভিসা জটিলতা দূর করতে আহ্বান জানিয়ে কৃষি মন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে বহু পর্যটক থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করে। যদি ভিসার সমস্যা সমাধান করা যায় তাহলে দু,দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, থাইল্যান্ড-বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে বিগত বছরগুলোতে বাণিজ্য সম্পর্ক বেশ জোরদার হয়েছে। ইতিপূর্বে দু’দেশের মধ্যে কৃষিখাতে সহযোগিতা বাড়ানো এবং সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দু দেশই কৃষির ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল এবং কৃষিক্ষেত্রে দু দেশের মধ্যে জ্ঞান ও প্রযুক্তির আদান প্রদানের অনেক সুযোগ আছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের উপযোগি পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে। থাই সরকার ও সেখানকার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে কৃষি প্রক্রিয়াজাতসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি এ সময় তিনি। থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাসও দেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের প্রযুক্তি ব্যবহারের সহায়তা চান তিনি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দেশ। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের চমৎকার বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে ৩২টি থাই কোম্পানি বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগ করেছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ভিসা জটিলতা সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রতিদিন ৮শ আবেদন জমা পরে, আমাদের লক্ষ্য তিন কার্য দিবসের মধ্যে ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করা। যথাযথ কাগজপত্র না থাকা ও ভিন্ন মাধ্যমে আবেদনের কারণে ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ হয়।

উল্লেখ্য, হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের সাথে একটি প্রকল্পে কাজ করতে যাচ্ছে থাইল্যান্ড। বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির বড় সুযোগ রয়েছে; এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। এ সময় পদ্মাসেতুসহ মেগা প্রকল্প সম্পর্কে কথা হয়। শেষে রাষ্ট্রদূত খাইল্যান্ডের জাতীয় দিবসে কৃষিমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রনপত্র তুলে দেন।

This post has already been read 3269 times!

Check Also

বরিশালের বিনা উদ্ভাবিত আমনের জাত বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালের বিনা উদ্ভাবিত আমনের জাত পরিচিতি, বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণ বিষয়ক …