মাহফুজুর রহমান (চাঁদপুর প্রতিনিধি): চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। মেঘনা, পদ্মা, মেঘনা ধনাগােদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে।
ফলে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কম বেশি হারে ক্ষিরা উৎপাদন হয়ে থাকে। নদীর তীর সংলগ্ন এলাকা ও চরাঞ্চল গুলােতে ব্যাপকহারে এ ক্ষিরার চাষাবাদ ও উৎপন্ন হয়ে থাকে । জেলার ১১ টি নদীমাতৃক চরাঞ্চলে এর ব্যাপক চাষাবাদ হয়। এটি দু’মাসের ফসল। বপনের ৩০ দিনের মধ্যেই মাঠ থেকে ক্ষিরা তােলা শুরু হয়। আমাদের সামাজিক আচারঅনুষ্ঠান গুলােতে এর চাহিদা ব্যাপক। ধনী-গরীব সকল পরিবারেই এ চাহিদা বিদ্যমান। থাকায় এর চাষাবাদের পরিমানও বাড়ছে। চাষিরা দামও ভালাে পাচ্ছে।
চলতি মৌসুমে চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় এবার ৫ শ’ ৩৭ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও ১০ হাজার ২ শ ৩ মে.টন ক্ষিরা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে খামারবাড়ি চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক এক তথ্যে জানা গেছে।
কৃষি বিভাগের সূত্রে জানা যায় চাঁদপুর সদরে ৩,৬১০ মে. টন, মতলব উত্তরে ৩ হাজার ৪০ মে. টন, মতলব দক্ষিণ ৩’শ ৮০ মে. টন, হাজীগঞ্জ ১ হাজার ৫ শ’ ২০ মে. টন, শাহারাস্তি ৬ শ ৬৫ মে. টন, কচুয়ায় ২’শ ৮৫ মে.টন, ফরিদগঞ্জে ৪ শ’৭৫ মে. টন এবং হাইমচরে ২ ম ২৮ মে. টন ক্ষিরা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বর্তমানে চাঁদপুরের সব উপজেলার ছােট-বড় প্রায় ৪ শতাধিক হাট বাজারের শত শত হােটেল-রেস্তোরাঁয় ক্ষিরার চাহিদাও দিন দিন বেড়েই চলছে। এ ছাড়াও প্রতিটি পরিবারের ছােট বড় সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান,ওয়াজ, দোয়া ও বিয়েতে এর চাহিদা অপ্রতিরােধ্য বলে কৃষি বিভাগ জানান। চিকিৎসকদের মতে, ক্ষিরা হজমশক্তি বৃদ্ধি ও চর্বি দমনের একটি টনিক হিসেবে কাজ করে