নিজস্ব প্রতিবেদক: ফের কমানো হলো ডিএপি সারের দাম। কেজিপ্রতি ৯ টাকা কমিয়ে এখন থেকে বিক্রি হবে ১৬ টাকা। আগে এর দাম ছিল ২৫ টাকা কেজি। ডিলার পর্যায়ে ২৩ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হবে ১৪ টাকা কেজি। সরকার এ নিয়ে পাঁচ দফায় সারের মূল্য কমালো। ৮০ টাকার টিএসপি সার ২২ টাকা, ৭০ টাকার এমওপি ১৫ টাকা ও ৯০ টাকার ডিএপি ১৬ টাকায় দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ডিএপি সারে সরকারের বছরের প্রণোদনা বাবদ ৮শ কোটি টাকা ব্যয় হবে, তবে এটাকা কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে প্রণোদনা বাবদ বরাদ্দ ৯ হাজার কোটি টাকা পুরণ করা হবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর):কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফ্রিং -এ সাংবাদিকদের একথা জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকের উৎপাদন খরচ হ্রাস, সৃষম সার ব্যবহারে কৃষকগণকে উদ্বুদ্ধকরণ, কৃষিক্ষেত্রে গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ পরিবেশ বান্ধব টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের মূল্য পূণ
রায় কমানোর সিদ্বান্ত গ্রহণ করেছে। ডিএপি সারের মূল্য হ্রাসের ফলে কৃষকের ঋৎপাদন খরচ উল্লেখ্যযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষকগণ অপেক্ষাকৃত কম মূল্য ও অভ্যাসগত কারণে ইউরিয়া সার অধিক ব্যবহার করে থাকেন। এতে ফসলের জমিতে বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকার আক্রমণসহ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। ফলশ্রুতিতে কীটনাশকের ব্যায়হার বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে ডিএপি সার ফসফেট ও নাইট্রোজেন সহযোগে একটি মিশ্র সার হওয়ায়, এটি ব্যবহারের ফলে গাছ শক্তিশালি হয়, ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও ফসল পুষ্ট হয়, ফলে কীটনাশকের ব্যায়হার হ্রাস পাবে। এর ফলে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে ক্ষতিকর কীটনাশকের আমদানি কমে যাবে। সেই হিসেবে ডিএপি সার মানসম্পন্ন ফসল উৎপাদনে কার্যকর এবং পরিবেশবান্ধন।
উল্লেখ্য, ডিএপি সারে ১৮শতাংশ নাইট্রোজেন(এ্যামোনিয়া ফর্মে) এরং টিএসপি সারের সমপরিমানের ফসফেট রয়েছে। ফলে এই সার প্রয়োগে ইউরিয়া ও টিএসপি উভয় সারের সুফল পাওয়া যায়।