নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চার দিনব্যাপী পার্বত্য মেলা বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তজার্তিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলা উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. গওহর রিজভী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু’র কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করে উন্নয়নের দ্বারা উম্মোচন করেন। শান্তি চুক্তির ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সকল সমস্যা রয়েছে তা পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সভাপতির বক্তৃতায় বীর বাহাদুর বলেন, এবার পঞ্চম বারের মতো পার্বত্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পার্বত্য মেলায় হস্ত শিল্প, কুটির শিল্প, বাশ-বেত, কৃষি দ্রব্যাদি ও ফলফলাদি প্রদর্শন ও বিক্রয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে পাহাড়িদের সাথে রাজধানীবাসীর মেলবন্ধন সৃষ্টি হবে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করা হয়। শান্তি চুক্তির আলোকে তিন পার্বত্য জেলায় জেলা পরিষদ গঠন করা হয়। পার্বত্য এলাকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
পার্বত্যাঞ্চলে রাস্তাঘাট, কৃষি, স্বাস্থ্য খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে । যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য দিপংকর তালুকদার, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর প্রচার ও বিপণনের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারো এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলা চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
মেলায় প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগডাছড়ি পার্বত্য জেলার শিল্পীবৃন্দ পাহাড়ের নান্দনিক ও ঐতিহ্যবাহী সংগীত, নৃত্য ইত্যাদি পরিবেশনা করবে।