ব্রয়লার মুরগির শেড বা ঘর: আমাদের দেশের অধিকাংশ ব্রয়লার খামারী যেখানে যেমন সুযোগ আছে সেখানে টিন বা খড়ের দু’চালা ছাউনির শেড তৈরি করে ব্রয়লার মুরগি পালন করে থাকেন। এদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রান্তিক কৃষকের এর চেয়ে বেশি সামর্থ্য নেই। তবে এটা সমস্যা নয় সমস্যা হলো ঘরের ধারন ক্ষমতা অনুসারে কত বাচ্চা পালন করা যাবে এ বিষয়টি সব সময় মেনে না চলা। যখন বাচ্চার দাম কম থাকে তখন ঘরের ক্যাপাসিটির বেশি বাচ্চা উঠানো হয়। তবে শেডে বাচ্চার ঘনত্ব কেমন হবে তা নির্ভর করে পরিবেশের অবস্থা,বাজারজাতকরনের সময়,ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা ইত্যাদির উপর। সাধারনতঃ প্রতিটি ব্রয়লার মুরগির জন্য ১ বর্গফুট জায়গা হিসাব করে একটি নিদিষ্ট পরিমাপের ঘরে কত সংখ্যক ব্রয়লার পালন করা যাবে তা নির্ধারণ করা হয়। খোলা ঘরে যেখানে ফ্যান ছাড়া প্রাকৃতিক ভেনটিলেশনের উপর নির্ভর করা হয় সেখানে ঘরে প্রতি বর্গমিটার জায়গায় ৩০ কেজি দৈহিক ওজনের বাচ্চা পালন করা সম্ভব। বয়স অনুসারে প্রতিটি ব্রয়লার মুরগির জন্য মেঝেতে,পানির ও খাবার পাত্রে কতটুকু জায়গার দরকার হয় তা নিম্নরুপ হতে পারে-
বয়স | প্রতিটি পাখির জন্য মেঝেতে জায়গা | প্রতিটি পাখির জন্য খাদ্য পাত্রে জায়গা | প্রতিটি পাখির জন্য পানির পাত্রে জায়গা |
১৮ দিন বয়স পর্যন্ত | ০.৫ বর্গফুট | ৩ সে.মি. | ১.৫ সে.মি. |
১৯ দিন থেকে বাজারজাতকরন পর্যন্ত | ১.১ বর্গফুট | ৬-৭ সে.মি | ৩ সে.মি |
পানি ব্যবস্থাপনা : মুরগি থেকে ভালো উৎপাদন পেতে হলে পরিষ্কার,বিশুদ্ধ ও সতেজ পানি সরবরাহ করতে হবে। পানি গ্রহনের পরিমান দ্বারা মুরগির সুস্থতা পরিমাপ করা যায়। পানি গ্রহনের সাথে খাদ্য গ্রহনের একটা পজিটিভ সহ-সমন্বন্ধ রয়েছে। পানি গ্রহন কমে গেলে খাদ্য গ্রহনও কমে যায় ফলে উৎপাদন ব্যহত হয়। ব্রয়লারের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় যতটুকু খাদ্য খাবে তার ১.৭ থেকে ১.৮ গুণ পানি গ্রহন করবে। এই সাধারণ বিষয়টি আমাদের সকল খামারীগণই জানেন। তবে আজকের আলোচনার বিষয়টি হলো পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা। সময়ের সাথে সাথে মুরগির পানি প্রদান ব্যবস্থাপনা অনেক আধুনিক হলেও আমরা যেখানে শুরু করেছিলাম সেখানেই রয়েছি। ব্রয়লার খামারের ক্ষেত্রে ব্রিডার্স খামার ছাড়া পানির আধুনিক সরবরাহ ব্যবস্থা অনেক বড় বাণিজ্যিক খামারেও নাই। আমাদের দেশে যেসব খামারে খাাঁচায় মুরগি পালন করা হয় সেসব খামারে লম্বা খোলা প্লাস্টিকের পাত্রে এবং যেখানে ফ্লোর বা মাচায় পালন করা হয় সেখানে বড় প্লাস্টিকের পাত্রে পানি সরবরাহ করা হয়। তবে বাচ্চার ব্রুডিং পিরিয়ড়ে মুরগি পালনের উভয় পদ্ধতিতেই প্লাস্টিকের পাত্রে পানি দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে পানি দুষিত হতে পারে যা মুরগির স্বাস্থ্য ও উৎপাদন ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেহেতু আমাদের পোল্ট্রি শিল্প আজ অনেক পথ পেরিয়ে এসেছে তাই খামার রোগ মুক্ত রাখতে পানির আধুনিক ও অটোমেটিক সরবরাহ পদ্ধতি(নিপল ড্রিংকার,কাপ ড্রিংকার ইত্যাদি) ব্যবহারের সময় এসেছে। এগুলো যেহেতু খামারের স্থায়ী খরচের অংশ অর্থাৎ বার বার কেনা লাগে না তাই এগুলো সহজপ্রাপ্য হলে খামারীরা ব্যবহারে আগ্রহী হবেন। পোল্ট্রি সরঞ্জাম আমদানী বা প্রস্তুতকারী কোম্পানীসমুহ এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে পারে।
খাদ্য ব্যবস্থাপনা : বাংলাদেশের ৯৯ ভাগ ব্রয়লার খামারী ব্রয়লার মুরগিকে রেডি ফিড খাওয়ান। প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানীর বাজারজাতকৃত(পিলেট ও ক্রাম্বল জাতীয়) রেডি-মেড পোল্ট্রি ফিড পাওয়া যায়। ব্রয়লার খামারীদের জন্য এটা একটা বড় সুবিধা। তবে একজন খামারী বিভিন্ন খাদ্য উপকরণ সংগ্রহ করে তার খামারের মুরগির জন্য প্রয়োজনীয় খাবার নিজেই তৈরি করে খাদ্য খরচ ৫-১০% কমাতে পারেন। যাকে লুজ খাদ্য বলা হয়। সেক্ষেত্রে প্রস্তুতকৃত খাদ্যে প্রয়োজনীয় পরিমান পুষ্টি উপাদানের উপস্থিততি নিশ্চিত করতে হবে। যদি কোন খামারী তার খামারের ব্রয়লার মুরগির জন্য খাদ্য নিজে তৈরি করতে চান তাহলে ফিড ফরমুলেশনের যে প্রাথমিক ধারনাটি তাকে জানতে হবে তাহলো ব্রয়লার স্টাটার রেশনে ভূট্টার পরিমান থাকতে হবে ৫০ ভাগ এবং ৫০ ভাগ কনসেন্ট্রেট(সয়াবিন মিল,চালের কুঁড়া,প্রোটিন কনসেন্ট্রেট ইত্যাদি) এবং ফিনিসার রেশনে ভূট্টার পরিমান থাকতে হবে ৬০ ভাগ এবং ৪০ ভাগ কনসেন্ট্রেট(সয়াবিন মিল,চালের কুঁড়া,প্রোটিন কনসেন্ট্রেট ইত্যাদি)।
খাদ্য সরবরাহের জন্য আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনায় আমরা মুরগির খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে অটোমেটিক ফিডার প্যান বা চেইন ফিডার ব্যবহার করতে পারি। এগুলোর কারনে প্রাথমিক খরচ সামান্য একটু বেশি হলেও খাদ্য অপচয় ও দূষণ কম হবে এবং খামার পরিচালনা ব্যয় বা শ্রমিক খরচ কমে যাবে।তাছাড়া পুষ্টি সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্রয়লারের জীবনকালে উৎপাদনচক্রের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন পরিমান পুষ্টি উপাদান যেমন-এনার্জি,প্রোটিন,খনিজ দরকার হয়। সবোর্চ্চ উৎপাদন পেতে হলে প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে খাদ্যের স্পেসিফিকেশন অনুসারে খাওয়াতে হবে। বর্তমানে আমরা ব্রয়লারের যে সব ষ্ট্রেইন পালন করি এগুলোর বাজারজাতকরনের বয়স ৩৫-৩৫ দিন। আমাদের দেশে যে ওজনের ব্রয়লারের ভোক্তা চাহিদা বেশি (১.৫ থেকে ২.০ কেজি) তা সাধারণতঃ এই বয়সের মধ্যে অর্জিত হয়ে যায়। দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি ও পুষ্টির প্রয়োজনীয়তার আলোকে ব্রয়লার মুরগিকে ব্রয়লার স্টাটার এবং ব্রয়লার ফিনিশার এই দুই ধরনের বয়স ভিত্তিক খাদ্য সরবরাহ চালু থাকলেও আরো ভালো পারফরমেন্সের জন্য ব্রয়লারকে চার ধরনের বয়সভিত্তিক খাদ্য প্রদান করা যায় যেমন –
খাদ্যের বয়স ভিত্তিক শ্রেণি | দিন |
প্রি-স্টার্টার | ১- ১৪ দিন |
স্টার্টার | ১৫-২৬ দিন |
ফিনিসার-১ | ২৭-৩৫ দিন |
ফিনিসার -২ | ৩৬ দিন থেকে বাজারজাতকরন পর্যন্ত |
বর্তমান সময়ে ব্রয়লার পালনের ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত শব্দ হলো “ জীবনের প্রথম ৭ দিন বয়স” এই সময়ে ভবিষ্যৎ উৎপাদনের ভিত্তি তৈরি হয় এবং জীবনের প্রথম ‘‘১৪ দিন’’বয়স,এই বয়সে দেহের বিভিন্ন অঙ্গাণু সমুহের ডেভলপমেন্ট হয় এ জন্য সময়ের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে বয়সভিত্তিক খাদ্য সরবরাহ করা দরকার। এদেশে এখনো ঋতুভিত্তিক খাদ্য তৈরি ও খাওয়ানো প্রচলিত না হলেও মুরগির সূষম দৈহিক বৃদ্ধি এবং উৎপাদনের জন্য খাদ্য ব্যবস্থাপনার উপর পরিবেশের তাপমাত্রার একটা বড় প্রভাব রয়েছে। যেমন-শীতকালে দৈহিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে মুরগির বেশি এনার্জির দরকার হয়। এ জন্য শীতকালে মুরগির খাদ্যে এনার্জির পরিমান বাড়াতে হবে। তাই এ সময়ে সরবারাহকৃত খাদ্যে ২-৩% ভূট্টা ভাংগা বা ১-২% সয়াবিন তৈল মিশানো যেতে পারে। মাংস বৃদ্ধি এবং ভালোভাবে পালক গজানোর জন্য ব্রয়লারের স্টাটার রেশনে উচ্চমাত্রার প্রোটিন দরকার হয় এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রোটিনের পরিমান কমিয়ে এনার্জির পরিমান বাড়াতে হবে। দেহে চর্বি জমতে এনার্জি দরকার হয়। ব্রয়লার মুরগির খাদ্য খাওয়ানোর কৌশল ফাইনাল প্রোডাক্টের বাজারজাতকরনের বয়সের সাথে সম্পর্কযুক্ত। দ্রুত বর্ধনশীল ব্রয়লারের মেটাবলিক রোগ এসাইটিস এবং পা’য়ের দুর্বলতা প্রতিরোধের জন্য পুষ্টি গ্রহণের বিষয়টি সতর্কতার সাথে মেইনটেন করতে হবে।
আলোক ব্যবস্থাপনা : নিরবচ্ছিন্ন আলো নয় সকল প্রাণির জন্য ২৪ ঘন্টায় একটা নির্দিষ্ট সময় অন্ধকার দরকার। মুরগি যখন বিশ্রামে থাকে তখন এনার্জি সঞ্চিত হয়,যা খাদ্য রুপান্তর হারকে বৃদ্ধি করে। মুরগির সমরুপতা বাড়ে। মৃত্যুহার কমে এবং কঙ্কালতন্ত্রের বিচ্যুতি কমে। তবে মুরগির বাচ্চার জন্য জীবনের প্রথম দিন ২৪ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন আলো দরকার। দ্বিতীয় রাতে আলো যে সময়ে বন্ধ করা হবে প্রত্যহ একই সময় বন্ধ করতে হবে। বাচ্চার ওজন ১০০-১৬০ গ্রাম হলে অন্ধকার বাড়ানো বৃদ্ধি করতে হবে। অন্ধকার সময়ে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করা যাবে না। ব্রয়লারের পারফরমেন্স এবং ওয়েলফেয়ারের জন্য আলোক কর্মসূচী খুব গুরুত্বপূর্ণ। এসাইটিস, পা’য়ের দূর্বলতাজনিত অস্বাভাবিকতা ও হঠাৎ মৃত্যু প্রতিরোধে ৭ থেকে ২১ দিন বয়স পর্যন্ত ব্রয়লারের অতিরিক্ত দৈহিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য আলোক কর্মসূচী ডিজাইন করা হয়। ব্রয়লারের ঘরে আলোর তীব্রতা এবং আলো সমস্ত ঘরে ছড়িয়ে থাকার উপর ব্রয়লার গতিশীল থাকতে সক্রিয় করে। ব্রয়লার হাউজের জন্য সুপারিশকৃত আলোর তীব্রতা ২৫ লাক্স(২.৫ ফুট-ক্যান্ডেল)এবং ৭ দিন বয়সের পর তা কমে ৬-৭ লাক্সে নেমে আসে। যখন আলো প্রদান কর্মসূচী প্রণয়ন করা হয় তখন মুরগির কৌলিতত্ব, পুষ্টি, খাদ্য গ্রহণ এবং ব্যবস্থাপনা আলো প্রদান কর্মসূচি এগুলো বিবেচনায় নিতে হয়।
টিকা প্রদান: “চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম”এ কথাটি হাঁস-মুরগি গবাদিপশুর বেলায় বেশি প্রযোজ্য। মুরগিকে রোগ-ব্যাধির হাত থেকে রক্ষার জন্য টিকা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। অর্থাৎ টিকা প্রদানের মাধ্যমে কৃত্রিম উপায়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলে বিভিন্ন ঘাতক ব্যাধি থেকে খামার রোগ মুক্ত রাখা যায়,যা আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনার অপরিকার্য অংশ বলে বিবেচিত।তবে টিকা প্রদান করলেই যে খামার রোগমুক্ত থাকবে সব অবস্থায় এমন ভাবা ঠিক না। যথাযথ নিয়ম মেনে টিকা প্রদান না করলে টিকা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না। আমাদের দেশে ৮০ ভাগ খামারী পেশাদার ভ্যাক্সিনেটরের মাধ্যমে টিকা প্রদান করে থাকে। বিজ্ঞানভিত্তিক খামার পরিচালনার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি সঠিক নয়। কোন ভ্যাক্সিনেটরই আপনার খামারে প্রথম না, আরো ১০-৫ টা খামারে ভ্যাক্সিন করেই আপনার খামারে প্রবেশ করেছে এটা হিসাবে নিতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় আপনার খামারের এটেনডেন্টকে খামার পরিচালনার অপরিহার্য বিষয়গুলি(টিকা প্রদান,ঠোট কাটা ইত্যাদি)শিখিয়ে অভিজ্ঞ করা। তাহলে খামার রোগমুক্ত রাখা সহজ হবে।
লিটার ব্যবস্থাপনা : আমাদের দেশে দু’টি পদ্ধতিতে ব্রয়লার পালন হয় একটি লিটার পদ্ধতি এবং অপরটি মাচা পদ্ধতি। রাজবাড়ী,ফরিদপুর অঞ্চলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাচা পদ্ধতিতে এবং নওগাঁ, পাবনা এসব এলাকায় ফ্লোরে বা লিটার পদ্ধতিতে ব্রয়লার পালন করা হয়। লিটার ব্যবস্থাপনা ভালো না হলে তা ব্রয়লারের স্বাস্থ্য,উৎপাদন ও কারকাসের কোয়ালিটি এবং ভোক্তার পছন্দ কে প্রভাবিত করে। এছাড়া একটি আদর্শ খামার হিসাবে বাচ্চার জন্ম তারখি,ভ্যাক্সিন প্রদানের তারিখ,কি ভ্যাক্সিন কখন করা হলো,খাদ্যের পুষ্টিমান, দৈহিক বৃদ্ধি ইত্যাদি তথ্য সম্বলিত দৈনন্দিন কার্যাবলীর রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে।
এখন আমরা বলে থাকি এবং উপলদ্ধি করি দেশের বৃহত্তম খাত হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে পোল্ট্রি শিল্প যেখানে ২০২১ সাল নাগাদ বিনিয়োগ হবে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। এই সম্ভাবনার আলোকে ব্রয়লারের মাংস বা ড্রেসড ব্রয়লার বিদেশে রপ্তানী করতে এখনই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্রয়লারের মাংস রপ্তানীর যতেষ্ঠ সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে আমাদের খামারের হাইজিনিক অবস্থার অনেক উন্নত করতে হবে। খামারের বায়োসিকিউরিটি তথা পানি ও খাদ্য সরবরাহ পদ্ধতির আধুনিকায়ন করতে হবে যাতে কোয়ালিটি প্রোডাক্ট উৎপাদনের একটা স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখা যায়। উপরের কেস স্টাডি স্টাডি করে দেখা যায় যে যেনতেন ভাবে খামার করলে তা দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখা যায় না। যতক্ষন পর্যন্ত এই খাতে আমাদের দীর্ঘমেয়াদে অবস্থান নিশ্চিত না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত টেকসই অগ্রগতি অর্জন করা কঠিন। এ জন্য খামার ব্যবস্থাপনা আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত করতে হবে।
লেখক: কৃষিবিদ মো. মহির উদ্দীন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, চাটমোহর, পাবনা।