নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল) : ফসলের উৎপাদন খরচ কমাতে সোলার পাম্প অনন্য। এর মাধ্যমে বোরো মৌসুমে সেচের কাজ হয়। পাশাপাশি কৃষি যন্ত্রপাতি এবং ঘরের বিদ্যুৎ ব্যবহারে পাওয়া যায় বাড়তি সুযোগ, নেই জ্বালানী ব্যয় এবং নেই কোনো দূষণ।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ঝালকাঠির নলছিটিতে ব্রি ভাম্যমাণ সোলার প্যানেলভিত্তিক পাম্প, ধান মাড়াইযন্ত্র ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ শীর্ষক দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সদস্য পরিচালক (প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগ) ড. সুলতান আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ধান-নদী-খাল এ তিনে বরিশাল। দক্ষিণাঞ্চলের সে ঐতিহ্য ফিরে আনতে প্রয়োজন বোরো মৌসুমে চাষাবাদ বাড়ানো। এতে সহায়ক হিসেবে সোলার মাম্প রাখতে পারে বিরাট ভূমিকা।
সোলার পাম্প প্রকল্পের আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএআরসি’র সদস্য পরিচালক (প্রাণিসম্পদ বিভাগ) ড. নাজমুন নাহার করিম ও প্রকল্পের কনসালটেন্ট ড. মো. সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে নলছিটি এবং ঝালকাঠি সদরের ২০ জন চাষিকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তানকি আশরাফের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. এবিএম জাহিদ হোসেন, নলছিটির উপজেলা কৃষি অফিসার ইসরাত জাহান মিলি, ঝালকাঠি সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রিফাত সিকদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ব্রি’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পলাশ কুন্ডু, ঐশিক দেবনাথ, ফেরদৌস পারভেজ, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এনএটিপি ফেইজ-২’র অর্থায়নে ব্রি দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি উপজেলার কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সোলার পাম্প বিতরণ করে। উপজেলাগুলো হচ্ছে বাকেরগঞ্জ, উজিরপুর, ঝালকাঠি সদর, নলছিটি, পিরোজপুর সদর এবং নাজিরপুর।