ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস ও ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের ব্যবহার বৃদ্ধিসহ কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে দেওয়া কৃষিমন্ত্রীর প্রস্তাব সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। গত বুধবার ৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ে সারের মূল্য হ্রাসের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এ ঘোষণা দেন। হ্রাসকৃত মূলে ডিএপি সারের বিক্রি ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ বিজয় দিবস থেকে কার্যকর হবে। এটি কৃষকবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র কৃষকদের জন্য উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
ডিএপি সারের দাম কেজি প্রতি ৯ টাকা কমিয়ে ডিলার পর্যায়ে ১৪ টাকা ও কৃষক পর্যায়ে ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য প্রতি কেজি সারে ২৪ টাকা ধরে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে এখাতে। ডিপিতে ফসফরাসের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম ও নাইট্রোজেন যুক্ত থাকে। যেটা গাছের জন্য অধিক উপকারি। এ সার প্রয়োগে গাছ শক্তিশালী হয়, ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও ফসল পুষ্ট হয় ফলে কীটনাশকের ব্যবহার ও আমদানি কমে যাবে।
সুষম সার ব্যবহারে কৃষকগণ অধিক ফলন পাবে। পরিবেশবান্ধব টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার হবে। প্রতি বস্তা(৫০কেজি) ডিএপি সাওে ২০ কেজি ইউরিয়া এবং ৫০ কেজি টিবসেপি সারের সমপরিমান পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। মূল্য হ্রাসের প্রেক্ষিতে বর্তমানে প্রতি বস্তা ডিএপি সার ব্যবহাবে কৃষকের সাশ্রয় হবে ৬ শ ২০টাকা এবং প্রতি কেজিতে সাশ্রয় হবে ১২দশমিক ৪০ টাকা।
ডিপিতে ফসফরাসের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম ও নাইট্রোজেন যুক্ত থাকে। যেটা গাছের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ রোধ করে। ফুল, ফল ও বীজে গুণগতমান বাড়ায়। ফলে এ সার প্রয়োগে একদিকে যেমন ইউরিয়া ও টিএসপি উভয় সারের সুফল পাওয়া যাবে আবার অর্থ ও শ্রম উভয়ের সাশ্রয় হবে।
দেশে বছরে ৪ থেকে ৫ লাখ টন ডিএপি সারের চাহিদা রয়েছে। দাম কমানোর ফলে ডিএপি সারের ব্যবহার আরো বাড়বে; ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমবে; কৃষদের উৎপাদন খরচও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে। ডিএপিতে ফসফেট ছাড়াও ১৮% নাইট্রোজেন বিদ্যমান থাকে যার কারণে এটি চুনযুক্ত পলি মাটির জন্য একটি উত্তম সার। এ সার প্রয়োগে ইউরিয়া এবং টিএসপি সারের সুফল পাওয়া যায়।