মো. জুলফিকার আলী (পাবনা) : ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি সরকার এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশের বিজয়ের ১৬ ডিসেম্বর দিনকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। ওই বছর থেকেই রাষ্ট্রীয়ভাবে এই দিবসটি পালন করা হচ্ছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পাবনার জেলা প্রশাসক মো. কবীর মাহমুদ নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসনসহ শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ দূর্জয় পাবনার পাদদেশে ফুল দিয়ে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালরকর নেতৃত্বে মহান বিজয় দিবস-২০১৯ ব্যানার সম্বলিত একটি বিশাল বর্নঢ্যা র্যালী উপপরিচালকের কার্যালয় হতে পাবনা স্মৃতিসৌধ দূর্জয় এসে শেষ হয়। এরপর দূর্জয় পাবনার পাদদেশে ফুল দিয়ে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করে। বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকী পালনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে পাবনাস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ মো. আজাহার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরিচালক কৃষিবিদ মো. আজাহার আলীর বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন আজ। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির দিন। বাঙালির আনন্দের দিন। ২৪ বছরের পাকিস্তানি দুঃশাসনের নাগপাশ ছিঁড়ে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আসে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাসে মরণপণ লড়াই করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনছিল বাংলার দামাল সন্তনরা । দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পেরিয়ে, ১৯৭১-এর এই দিনে, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলা ও বাঙালি পায় একটি স্বাধীন ভূখন্ড বাংলাদেশ, লাল-সবুজের পতাকা। সব ধরণের অধীনতা থেকে মুক্তি, সমাজে গণতন্ত্র, ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠার আকাঙ্খা থেকেই অভ্যুদয় হয় স্বাধীন দেশের।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার, কৃষিতে যান্ত্রীকীরণ ব্যবহাররর ফলে আজকের দিনে নতুন করে ফের বিজয় উল্লাসে ভাসবে দেশ, আনন্দে উদ্বেলিত হবে জাতি। শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জে ছড়াচ্ছে বিজয়ের আনন্দ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতি: উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো.শাইফুল ইসলাম, পাবনা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এ.এ মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন। এ সময় কৃষি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারী সহ কৃষি তথ্য সার্ভিসের এআইসিও মো. জুলফিকার আলীসহ সকল কর্মকর্তা -কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন উপসহকারী কৃষি অফিসার মো.আবু সাইদ শিখন।