নিজস্ব প্রতিবেদক: আমরা যতদিন সার্ভিস দিয়েছি ভালোভাবে দিয়েছি এবং আগামী দিনগুলোতেও দিবো। ইনশাল্লাহ সামনে আমাদের নিজেদের উৎপাদিত ফিড বাজারে আসবে। আমরা আর পরনির্ভরশীল থাকবোনা। এজন্য আমাদের সবার সমন্বিত উদ্যোগ এবং আন্তরিকতা প্রয়োজন। যদি আমরা সেভাবে কাজ করতে পারি তবে, ফিসটেক বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টরে আরো বেশি সুনির্দিষ্ট এবং বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। ইনশাল্লাহ ২০২০ সন হবে আমাদের জন্য আরো শক্ত এব মজবুত ভিত্তিতে দাড়ানোর বছর। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) মৎস্য সেক্টরের স্বনামধন্য কোম্পানি ফিসটেক (বিডি) লিমিটেড -এর ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন কোম্পানির পরিচালক মোহাম্মদ তারিক সরকার।
তিনি বলেন, আমরা যদি নিজেদের তথ্য ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে না পারি তবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আমরা টিকে থাকতে পারবোনা। আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে আমাদের তথ্য ও জ্ঞান ভাণ্ডারকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করতে হবে যাতে করে নিজেরা এবং খামারিরা উভয়ই উপকৃত হতে পারি। এ সময় তিনি খুব শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দীপপুঞ্জ থেকে নিয়ে আসা এসপিআর (স্পেসেফিক প্যাথোজেন রেজিস্ট্যান্স) তেলাপিয়া ফিসটেক পরিবারে যোগ হবে বলে জানান। এছাড়াও নিজেদের ব্রুড ব্যাংক করার ঘোষণা দেন তারিক সরকার।
সকাল ৯টায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াতের মাধ্যমে রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে সাধারণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফিসটেক (বিডি) লিমিটেড -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউল করিম ভূঁইয়া। তিনি উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বিগত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন এবং ২০২০ সনের বাজেট পেশ করেন।
বাজেট পেশ এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আতাউল করিম ভূঁইয়া বলেন, চলতি বছরে আমাদের বেশকিছু ঝড়ঝঞ্ঝাট গেছে। আশা করি, এগুলোকে মোকাবেলা করে আমরা সামনে এগিয়ে যাবো। যে যাই বলুক কিংবা করুক, আমরা ইতিবাচক চিন্তা ও পদক্ষেপ নিয়ে পথ চলতে চাই। কারো অমঙ্গল নয়, আমরা সবার এবং দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করবো।
তিনি ফিসটেক পরিবারের সহযোগি প্রতিষ্ঠান ফিসটেক গলদা হ্যাচারি, ফিসটেক বাগদা হ্যাচারি, ফিসটেক তেলাপিয়া হ্যাচারি, গ্রোটেক এগ্রো, গ্রোটেক এনিমেল হেলথ প্রত্যেকটি কোম্পানির স্বতন্ত্রভাবে বিগত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা পেশ করেন।
সমাপনী বক্তব্যে ফিসটেক (বিডি) লিমিটেড -এর চেয়ারম্যান খোন্দকার ফরহাদ হোসেন বলেন, শুধু পণ্য বিক্রি ও মুনাফা অর্জনই নয়; দেশের মৎস্য সেক্টরের উন্নয়ন, বেকারত্ব নিরসন এবং আমিষ ঘাটতি পূরণে আমরা একটি সুনির্দিস্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। তবে সে লক্ষ্যে পৌঁছতে আমাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে সরকারের সহযোগিতা আমাদের একান্তই প্রয়োজন। আমরা আশা করবো, মৎস্য সেক্টরে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সরকার গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করবে এবং সেগুলো নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন। কোন অশুভ শক্তির কালো থাবা যেন তিল তিল করে গড়ে ওঠা সেক্টরটির অর্জন ধ্বংস করতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে ফিসটেক (বিডি) লিমিটেড -এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাফিউল হাসান চৌধুরী উপস্থিত বিপণন কর্মকর্তাদের বিপণন বিষয়ে উৎসাহের মাধ্যমে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। এছাড়াও তিনি গত বছরের কর্মকর্তারা কে কোন কর্মকান্ডে জড়িত এবং তাদের সাফল্য উপস্থাপন করে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করেন।
ফিসটেক (বিডি) লিমিটেড -এর ব্যবস্থাপক মো. সোহেল মিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে চাষকৃত মাছের পুকুরের ডেমো ফলাফল প্রদর্শন করেন। ডেমোতে বিভিন্ন ধরনের সাফল্য দেখানো হয়।
অনুষ্ঠানে নতুন বছরের ইনক্রিমেন্ট, প্রমোশন, ইনসেনটিভ ছাড়াও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী রাখা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের মাঝে বার্ষিক নগদ প্রণোদনা ও শীতের প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য ফিসটেক (বিডি) লিমিটেড বাংলাদেশ মৎস্য সেক্টরে একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এবং পাবদা ও গোলসা মাছের ফিড দেশে তারাই প্রথম বাজারজাত করে। এছাড়াও সরকারি প্রতিষ্ঠান মৎস্য অধিদপ্তরের পরে বেসরকারি একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবচেয়ে বেশি ফিশারিজ গ্রাজুয়েট কাজ করেন প্রতিষ্ঠানটিতে।