নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল) : দক্ষিণবঙ্গের কৃষিতে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। ইতোমধ্যেই এ অঞ্চলের শস্যের নিবিড়তা শতকরা ২১৮ ভাগে উন্নীত হয়েছে। এর পরিমাণ আরোও বাড়াতে হবে। এজন্য ধানের পাশাপাশি ডাল, তেল ও শাকসবজির আবাদ বৃদ্ধির প্রয়োজন। তা বাস্তবায়নে দরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং ফসলের উন্নত জাত ব্যবহার। তাহলেই কৃষিকে আরো লাভবান করা সম্ভব। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বরিশালের রহমতপুরস্থ আরএআরএস সেমিনার কক্ষে পিবিআরজি প্রকল্পের এক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আব্দুল ওহাব এসব কথা বলেন।
আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন এবং এগ্রারিয়ান রিসার্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ।
বারি আয়োজিত এ কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিএসও ড. মো. আশরাফ হোসেন, ডিএই ঝালকাঠির উপপরিচালক মো. ফজলুল হক, বরিশালের উপপরিচালক হরিদাস শিকারী, ভাসমান প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, মাদারীপুরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. আজগর আলী, পিরোজপুরের অতিরিক্ত উপপরিচালক রথীন্দ্র নাথ বিশ^াস, বাবুগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিস মোসাম্মৎ মরিয়ম, বাগেরহাট সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার সাদিয়া সুলতানা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কৃষকসহ বারি, ডিএই এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসে ৫০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্পের আওতায় বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাটের ১২ উপজেলায় কর্মকান্ড চলমান আছে।