নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন; শুধু প্রকল্প পরিচালককে দায়িত্ব দিলে হবে না, দপ্তর প্রধান হিসেবেও প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বশীল হতে হবে। এছাড়া ৩০টি উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের বিষয় জানার জন্য এবং প্রশিক্ষণের ফলে কৃষক কিভাবে উপকৃত হবে এ বিষয়ে উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মাঠ পরিদর্শনের নির্দেশ দেন । আম রপ্তানির ক্ষেত্রে ফ্রুট ফ্লাই রোধ করে নিরাপদ আম রপ্তানি নিশ্চত করতে হবে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় মাসিক (ডিসেম্বর) এডিপি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ডাল ও তৈল উৎপাদন বৃদ্ধিতে আরো অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। ডাল ও তেল আমদানি ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনতে হবে। অবকাঠামো নির্মাণে বিল্ডিং কোডসহ অন্যান্য নিয়ম যথাযথোভাবে পালন করতে হবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রকল্প ও মাঠ পর্যায় পরিদর্শন করে কাজের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, প্রতিফলন জানাতে হবে। সকল পর্যায়ের অফিসারদের নিয়মিত মাঠ পরিদর্শনে যেতে হবে।
কোন কোন পাটজাত পণ্য বাজারজাত করা যায় তা নির্ণয় করতে হবে। পাটের বহুমুখি ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে কৃষকের হাটে যেসব নিরাপদ সবজি বিক্রি হচ্ছে সেইসব সবজি যে জমিতে উৎপন্ন হয়েছে তার মাটি পরীক্ষা করে ফলাফল নির্ণয়েরও নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে জমিতে যেসব সেচ পাম্প বসানো হয়েছে তা এখন অ্যাপস এর মাধ্যমে বন্ধ ও চালু করা হচ্ছে। আগামী বছর মুজিব বর্ষে বাংলাদেশের সকল সচে পাম্প অ্যাপস্ এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে উদ্বোধন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।