সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪

উপকূলীয় ভেড়ীবাঁধ নির্মাণে সরকারের ১২ হাজার ৯ কোটি টাকার প্রকল্প

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : বর্তমান সরকার উপকুলীয় অঞ্চলে বেড়িবাধ নির্মানে ১২ হাজার ৯ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। শুক্রবার সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি, খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপের উপকুলীয় এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধ পরিদর্শন কালে এসব কথা বলেন তিনি। পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নের যে রোল মডেল হাতে নিয়েছে, তা বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চলের মানুষ সুফল ভোগ করতে পারবে। উপকুলীয় এলাকায় পানি উন্নয়ন বোডের্র ৭টি পোল্ডারের আওতাধীন ভেড়ীবাঁধ নির্মাণে ১২ হাজার ৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। চলমান এ সব প্রকল্পের কাজ আগামী বর্ষার মৌসুমের আগেই শেষ করা হবে। তিনি গতকাল শুক্রবার প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ও গাবুরা ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ, জরাজীর্ণ ও ভাঙন কবলিত ভেড়ীবাঁধ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন, পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন, গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম, বুড়িগোয়ালিনা ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল প্রমুখ।

ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়ীবাঁধ পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দু’টি বিভাগের আওতায় সাতটি পোল্ডার রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আমরা পরিদর্শন করেছি। এখানকার ভেড়ীবাঁধগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রকৃতিক দুর্যোগ ও জলোচ্ছাসের হাত থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পরিকল্পনা অনুযায়ী আধুনিক টেকসই ও মজবুত ভেড়ীবাঁধ নির্মাণ করা হবে। যাতে বাঁধ ভেঙে ও বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে।

বেলা ১১টায় প্রতিমন্ত্রী স্পীডবোট যোগে কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের কাশির হাট, গাজীপাড়া, শাকবাড়িয়া ও দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা, মেদেরচরসহ বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন মো. আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি, কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা জোনের চীফ ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিকুর রহমান, খুলনা জোনের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান ইমাম প্রিন্স, সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান খাঁন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাহিদুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রবিউল হোসেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মসিউল আবেদিন, সেলিম ভূঁইয়া, উত্তর বেদকাশী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সরদার নুরুল ইসলাম, প্যানেল চেয়ারম্যান গণেশ চন্দ্র মন্ডল প্রমুখসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 3570 times!

Check Also

পরিবেশ সুরক্ষা ও পানি সাশ্রয়ে এডব্লিউডি সেচ পদ্ধতি

ড. এম আব্দুল মোমিন: ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। আউশ, আমন  বোরো মৌসুমে আমাদের দেশে ধান …