আলোকিত জনগোষ্ঠী গড়তে বাংলাদেশে শিক্ষার গুণগত মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক দশকে শিক্ষার সর্বস্তরেই চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। শিক্ষার এই ব্যাপক অগ্রগতি ও সক্ষমতা অর্জন অর্থনীতির ভিত্তিকেও করেছে মজবুত ও টেকসই। শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করে দেশপ্রেম ও মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে। পাশ করে বের হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে। এমন কিছু করে যেতে হবে যাতে করে মানুষ চিরদিন মনে রাখবে শ্রদ্ধাভরে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর আইডিয়াল কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ। উন্নয়ন এই গতিকে আরও বেগবান করতে হবে, আগামীতে তোমাদের নেতৃত্বে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে উপনিত হবে আর সে সময় রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকবে তোমরা, তাই উন্নত বাংলাদেশের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়তে হবে। শিক্ষিত দেশ প্রেমিক মানুষ দিয়েই বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব।
মন্ত্রী আরও বলেন; উপযুক্ত শিক্ষাই পারে সামাজিক, মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে। জাতির পিতা শিক্ষাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন, জাতির পিতা শিক্ষাকে অবৈতনিক ঘোষণা করেছিলেন। সংবিধানে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। শিক্ষার মাধ্যমে জাতিকে তিনি উন্নত করতে চেয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু এবং দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। এ সময় মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জীবনের কিছু ইতিহাস সম্পর্কে বলেন। সরকার দেশের সকল জনগণকে একত্রিত করতে চায়। শিক্ষাক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন করে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক মানসম্মত যুগোপযোগী শিক্ষা এবং আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।
গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান প্রফেসর মমতাজ বেগম; কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. মো. শামসুল আলম খান; কলেজের অধ্যক্ষ মো: জসিম উদ্দীন আহমেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা প্রফেসর মেজবাউর রহমান ভূইয়া রতন।