নওগাঁ সংবাদদাতা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু উপলক্ষে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৭:৩০ টায় নওগাঁয় বর্ণাঢ্য মোটর শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি’র নেতৃত্বে নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সকাল ৭:৩০টায় শহরের এটিএম মাঠ থেকে মোটর শোভাযাত্রাটি বের হয়। দুই শতাধিক গাড়ি ও মোটর সাইকেল নিয়ে এ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনের সাংসদ ও খাদ্যমন্ত্রী জনাব সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি। এছাড়াও জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং মুক্তিযোদ্ধারা এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
শোভাযাত্রাটি নওগাঁ শহর থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক ধরে বদলগাছী, পত্নীতলা, সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর ও মান্দা উপজেলা হয়ে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পুনরায় নওগাঁ শহরে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রাটি যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্থরের মানুষ মোড়ে মোড়ে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে ফুল ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানায়।
শোভাযাত্রাটি যাওয়ার পথে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি নজিপুর পৌরসভার জিরোপয়েন্ট, সাপাহার উপজেলার সদর, পোরশার সারাইগাছী মোড় ও নিয়ামতপুর উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
বিকেলে ঢাকায় মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় অস্থায়ী মঞ্চে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গে নওগাঁয় মুক্তির মোড়ে স্থাপিত ক্ষণগণনার ডিজিটাল ঘড়িটিও চালু করা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুক্তির মোড়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ-১ আসনের সাংসদ ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি। মন্ত্রী বলেন, দেশের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে ত্যাগ-তিতীক্ষা তা আজকের তরুণ প্রজন্মের অনেকেই সঠিকভাবে জানে না। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা যায় না। তাই তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে এ আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধারা, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন।