
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বে বাণিজ্যিক মাছ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় তেলাপিয়া। বাংলাদেশেও মাছটি ব্যাপকভাবে চাষ হয়। সাম্প্রতিকালে বিভিন্ন সমস্যা ও রোগের কারণে তেলাপিয়া মাছ চাষিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিষয়টিকে মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মৎস্য সেক্টরে সুপ্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য কোম্পানি ফিসটেক হ্যাচারি লিমিটেড নিয়ে এসেছে স্পেসেফিক প্যাথেজনিক রেজিস্ট্যান্স (SPR) মনোসেক্স তেলাপিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ থেকে কিছুদিন আগে উক্ত জাতের তেলাপিয়া ব্রুযড নিয়ে আসা হয়েছে দেশে। দেশে এ জাতের তেলাপিয়া প্রথম নিয়ে আসলো ফিসটেক হ্যাচারি লিমিটেড।

এ সম্পর্কে ফিসটেক হ্যাচারি লিমিটেড –এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তারিক সরকার এগ্রিনিউজ২৪.কম কে বলেন, তেলাপিয়া চাষটি সার্বজনীন, সারাবিশ্বেই মাছটি চাষ হচ্ছে। কিন্তু তেলাপিয়া চাষে অন্যতম প্রধা সমস্যা হলো স্ট্রেপ্টোককাস (Streptococcus) ও লেক ভাইরাস (Lake Viurs) নামে দুটো রোগ। আমরা আপাতত স্ট্রেপ্টোককাস রোগটিকে নজরে এনেছি যাতে চাষিরা এ থেকে পরিত্রান পেতে পারেন। তাই আর্ন্ত্জানিক খ্যাতিসম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রের জেনেটিকস কোম্পানি স্প্রিং জেনেটিকস (বেঞ্চমার্কের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান) থেকে আমরা সরাসরি এসপিআর তেলাপিয়ার ব্রুড আমরা নিয়ে এসেছি।
মোহাম্মদ তারিক সরকার বলেন, এসপিআর তেলাপিয়ার (SPR Tilapia) জাতের তেলাপিয়ার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট হলো এটি স্ট্রেপ্টোককাস (Streptococcus) রোগ মুক্ত এবং প্রতিরোধী থাকবে। অর্থাৎ এসপিআর তেলাপিয়াতে স্ট্রেপ্টোককাস রোগ হবেনা। এটি দেশের চাষিদের জন্য নিঃসন্দেহে সুখবর। কারণ, রোগটির কারণে তেলাপিয়া চাষিরা প্রতিবছর ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন। আশা করি, এর মাধ্যমে আমরা চাষিদের জন্য কিছু করতে পারবো।
কবে নাগাদ উক্ত জাতের তেলাপিয়া পোনা চাষিদের জন্য সরবরাহ করা যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তারিক সরকার বলেন, এ বছরই অর্থাৎ ২০২০ অল্প কিছু পোনা দেয়া যাবে। ইনশাল্লাহ ২০২১ সনে সারাদেশের চাষিদের জন্য ১০-১৫ কোটি এসপিআর তেলাাপিয়ার পোনা সরবরাহ করতে পারবো বলে আমরা আশা প্রকাশ করছি।
তারিক সরকার বলেন, অদূর ভবিষ্যতে তেলাপিয়ার রোগ প্রতিরোধ, সম্প্রসারন, প্রসেসিং ইত্যাদি অর্থাৎ মাছটির বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আধুনিক যত প্রযুক্তি আছে সেটি নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।