মাহফুজুর রহমান: চাঁদপুরে নদীবিধৌত, আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ,পরিবহনে সুবিধা,কৃষকদের চাষে আগ্রহ, কৃষি বিভাগের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রযুক্তি প্রদান,যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত,কৃষি উপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ, ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষীরা সরিষা চাষে আগ্রহী বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
বিশেষ করে চাঁদপুরের প্রত্যন্ত বা চরাঞ্চলগুলিতে ব্যাপক সরিষা উৎপাদন হয়ে থাকে। জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকেরা। উপজেলার চারদিকে সরিষার ক্ষেত যেন বাতাসে দুলছে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলাতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৭শ ২০ হেক্টর জমিতে। তার মধ্যে অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ১শ’ ৩৫ হেক্টর জমিতে। সরিষা ১টি লাভজনক ফসল, কৃষকরা সরিষা চাষে সফলতাও পেয়েছে এ জন্য কৃষকদের সব সময় আমাদের পক্ষ থেকে সহযােগিতা করা হচ্ছে।
এ উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় কৃষকরা সরিষার চাষ করেছে। এবারে অভাবনীয় সাফল্যের আশায় বুক বেঁধেছেন তারা। সরিষা ক্ষেতে চাষিদের চোখে মুখে যেন আনন্দের হাসি।
সুগন্ধী গ্রামের সরিষা চাষি কালু বেপারী জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনাে ক্ষতি না হলে এবারে সরিষার ভালাে ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরিষা আমার জমির ২য় ফসল। সরিষা উঠার পর বােরাে ধানের চারা রােপন করবাে।
দূর্গাপুর ইউনিয়নের এক চাষি জানান, ৭৫ শতক জমিতে সরিষার চাষ করেছি। আশা করছি ফলন ভালাে হবে এবং ভালাে লাভ হবে। ছেংগারচর গ্রামের কৃষক জানান, শীতে সরিষা চাষে কোনাে সমস্যা হয়নি। প্রতি বিঘায় ৬ থেকে ৭ মণ সরিষা উঠতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, এ উপজেলার কৃষকের সরিষা চাষের প্রতি আগ্রহ। আছে। বােরাে ধানের আবাদের জন্য চাষিদের আগ্রহ কম ছিল। এখন সরিষার চাষ বাড়ছে। বর্তমানে সরিষা গাছের মুকুল থেকে ফল আসা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার বাম্পান ফলন হবে।