নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের জন্য বিশ্বে বিলিয়ন ডলারের পোলট্রি মার্কেট উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। তবে এজন্য আমাদের তৈরি হতে হবে, নিরাপদ পোলট্রি মাংস ও ডিম উৎপাদনের দিকে জোর দিতে হবে। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করলে সেখানে উপস্থিত বক্তারা এ আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
বক্তারা বলেন-চীন, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং হালাল মার্কেটগুলোতে বাংলাদেশের মাংসের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। চীনে ইতোমধ্যে প্রায় ২০ লাখ মে.টন রেড মিটের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ভারত ও চীন উভয় দেশকেই হয়তো মাংসের চাহিদা মেটাতে আমদানিমুখী হতে হবে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতেও রেড মিটের ওপর থেকে সাবসিডি তুলে নেয়া হচ্ছে। এতে করে ঐসব দেশেও বিলিয়ন ডলারের মার্কেট উন্মুক্ত হতে পারে বাংলাদেশের জন্য।
উপস্থিত বক্তারা জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব মতে- চলতি অর্থবছরে এফ.এ.ও নির্দেশিত ১০৪টি ডিমের নূন্যতম চাহিদা পূরণ হয়েছে। তাছাড়া মাংসের মাথাপিছু বার্ষিক চাহিদা ৪৩.২৫ কেজি’র বিপরীতে গত বছরই ৪৫.১০ কেজি উৎপাদিত হয়েছে। অর্থাৎ ডিম ও মাংসে স্বয়ং-সম্পূর্ণ বাংলাদেশ। তাই দৃষ্টি এখন রপ্তানী বাজারের দিকে।
বক্তারা আরো জানান, বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যেই ভারতের কয়েকটি রাজ্যে পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের রপ্তানি শুরু হয়েছে। তবে প্রশাসনিক জটিলতার কারণে অনেক রপ্তানীকারক আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ডিম ও মুরগির মাংস রপ্তানীর পূর্বশর্ত হিসেবে সব ধরনের বাণিজ্যিক পোল্ট্রি খামার, ব্রিডার ফার্ম ও হ্যাচারি এবং ফিড মিল বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করার ওপর জোর দেন পোল্ট্রি নেতারা।