জাবি সংবাদদাতা: ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে ক্রমবর্ধমান জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজন স্বল্পতম সময়ে অধিক পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন। বিভিন্ন দেশীয় উদ্ভিদের জার্মপ্লাজমের উন্নয়ন ঘটানোর মাধ্যমে অল্প সময়ে অধিক ফলনশীল এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকর জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
শনিবার (১৮ জনুয়ারি) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ ও বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটি কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত “বার্ষিক উদ্ভিদ বিজ্ঞান সম্মেলন ২০১৯” এ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি এসব কথা বলেন। এ বছর সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় “Novel Approaches and Aecent Development in Plant Sciences.” তিনি বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা, দেশের সকল জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য এবং পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এক্ষেত্রে দেশের উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এখন সরকার জনগণের নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা দিতে চায়। মন্ত্রী আরও বলেন, গত কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সহ বিভিন্ন সেক্টরে দৃশ্যমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। সময়ের পূর্বেই এমডিজির অন্যতম লক্ষ্য দারিদ্র্যের হার কমে আসার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন সূচকের বেশ কিছু ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ভারত ও পাকিস্তানের উপরে।
তিনি আরো বলেন, দেশের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও দারিদ্র্য বিমোচনে প্রচলিত এবং অপ্রচলিত উদ্ভিদের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং ঐতিহ্যর মূল চালিকাশক্তি জীবজ প্রাকৃতিক সম্পদ এবং এর টেকসই ব্যবহার। নিত্যনতুন টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই প্রাকৃতিক সম্পদকে জাতির কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে।
প্রফেসর ড. এম আবদুল গফুর এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম, বোটানি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. নুহু আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আমির হোসেন, প্রফেসর ড. নুরুল আলম, প্রফেসর ড. ফিরোজা হোসেন, প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমানসহ উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।