রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

জাতির মেধা বিকাশে প্রাণিজ আমিষের বিকল্প নেই – বাহা সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বাহা) দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেনমৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খসরু, এম.পি।

মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি): জাতির মেধা বিকাশে প্রাণিজ আমিষের বিকল্প নেই। সুস্বাস্থ্য ও মেধায় অগ্রগামী হতে না পারলে, দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়নের ধারাবাহিতকা ধরে রাখতে উন্নত শিক্ষা ও গবেষণা দরকার। দেশের প্রাণিজ আমিষের একটি বড় অংশ পোলট্রি সেক্টর থেকে আসে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বাহা) দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খসরু, এম.পি ।

তিনি বলেন, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দেশে বিভিন্ন সেক্টরে গবেষণার মাধ্যমে উন্নতমানের গবাদিপশু উৎপাদন, পশুখাদ্যের প্রাপ্যতা ও নির্দিষ্ট করা অত্যন্ত জরুরি। কাজেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বন্ধন দৃঢ় করার লক্ষ্যে এ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রী গ্র্যাজুয়েটদের কর্মক্ষেত্র মানোন্নয়নে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করার সর্বক্ষেত্রে পালন করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, কিন্তু প্রাণিজ আমিষের অন্যতম মাধ্যম ডেইরি সেক্টর তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে। ডেইরি সেক্টরের উন্নয়নে সরকার পাঁচশত কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে দুধের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে।

শনিবার সকাল ১০টয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বাহার সভাপতি ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খসরু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ, পশুপালন অনুষদের ডিন এবং বাকৃবি ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল জব্বার শিকদার এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার। সম্মেলনে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান।

সম্মেলনের টেকনিক্যাল সেশনে ৫০টি গবেষণা পত্র উপস্থাপন করা হয়। এছাড়াও ‘বাংলাদেশে নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনের দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছরে বাংলাদেশে মানুষের খাদ্যাভ্যাসের সাথে প্রাণিসম্পদেরও আমূল পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদের পরিমান প্রায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুধ, ডিম ও মাংসের উৎপাদন প্রায় পাঁচ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের মানুষ মাথাপিছু গড়ে প্রতিদিন ১৬৫ মিলিলিটার দুধ, ১২৫ গ্রাম মাংস এবং বছরে ১০৪ টি ডিম খেতে পারছে। প্রাণিসম্পদের এই উন্নয়নে পশুপালন গ্র্যাজুয়েটদের অবদান অনস্বীকার্য। তবে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপদতায় জোর দিতে হবে বলে জানান তিনি।’

This post has already been read 4246 times!

Check Also

শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে – সিকৃবি ভিসি

সিকৃবি সংবাদদাতা: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের …