মির্জাপুর( টাঙ্গাইল): শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন ও মানবীয় মূল্যবোধের জন্য, সর্বোপরি মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে প্রধান নিয়ামক। জীবনকে সফল ও সার্থক করার জন্য জ্ঞান অর্জন করতে হবে প্রকৃত মানুষ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের আচরণ এমন হতে হবে যা অন্যকে অনুপ্রানিত করে আত্মাকে স্পর্শ করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করে দেশ প্রেম উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশকে জানতে হবে। মানুষের মতো মানুষ হতে হবে, আর্দশবান মানুষ হতে হবে। কোন জাতির সমৃদ্ধির জন্য সোনা, হিরা, তেল এর খনির চেয়ে শিক্ষিত জনগণ বেশি কার্যকর।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জেলার মির্জাপুর উপজেলার কাদিম ধল্যায় ড.আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম বর্ষপূতি উৎসব ২০২০ উপলক্ষে সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন। আনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ ও মনমুগ্ধকর ডিসপ্লে প্রদর্শণ করেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার আটর বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখিয়েছেন উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের, আমরা সেই স্বপ্ন পূরণের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। তাই সততা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশের উপযোগি নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। আজকের যারা এখানে আছো তোমাদের হাতেই ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে। মেধা মননে মানবিক মূল্যবোধে বলিয়ান হয়ে উন্নত বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড়াতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে ধারণ করে আত্মপ্রত্যয়ী, নিয়মানুবর্তিতা, ঐতিহ্যের চেতনাবোধ, স্বাধীনতার ও চেতনা,সৎ ও সুস্থ সাংস্কৃতির উন্মেষ ঘটাতে হবে। নৈতিক মানসম্পন্ন নাগরিক সৃষ্টি করতে হবে; তাহলে শিক্ষা থেকে সুফল লাভ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সহজ হবে।
প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার চেতনা, মানবিকতার মত মহৎ গুণাবলীর সমাবেশ ঘটিয়ে শিক্ষার্থীর মনে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে হবে।
উন্নয়নশীল কিংবা নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ যেইভাবে ভাবুন না কেনো, বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে যেসকল অন্তরায় আছে সেগুলো ক্রমান্বয়ে দূরীভূত হচ্ছে । শিক্ষাক্ষেত্রের প্রতিবন্ধকতা সর্বাগ্রে দূর করে আলোর পথ বাংলাদেশ। আর সেই আলোয় আলোকিত হয়ে বাংলাদেশের সামনে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ এর ‘এস ডি জি’ এবং ২০৪১ এর স্বপ্নের ‘রূপকল্প’ বাস্তবে কার্যকরী হবে, দেশ চলে যাবে উন্নত দেশের কাতারে।
সাবেক সচিব ও প্রতিষ্ঠানের গর্ভনিং বডির সভাপতি ড.খোন্দকার শওকত হোসেন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আব্দুল মালেক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মির্জাপুর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কলেজের অধ্যক্ষ শ্রী মৃণাল কান্তি ঘোষ।