এগিনিউজ২৪.কম ডেস্ক: আপনি গরুর খামার করতে গেলে প্রথমেই যে বাঁধার সম্মুখিন হবেন, তা হলো এর প্রাপ্তিস্থান এবং মূল্য। এটি সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারনা না থাকলে আপনার বিনিয়োগ শুরুতেই বিফলে যেতে পারে অথবা মনোবল ভেংগে যেতে পারে। খামার করার আগে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গরুর প্রাপ্তি স্থান জেনে নিন-
১. আপনার বাজেট যদি ৪০,০০০-৪৫,০০০ টাকার মধ্যে হয় তাহলে আপনি কুড়িগ্রামের ভুরুংগামারী, নাগেশ্বরী, যাত্রাপুরা, লালমনিরহাটের বড়বাড়ী হাট থেকে নিতে পারেন। এখানকার বেশিরভাগ বাছুর লাল খুব সুন্দর কিন্তু ১২ থেকে ১৮ মাস মেয়াদী প্রজেক্ট হলে ওখান থেকে বাছুর কিনা ভালো।
২. আপনি যদি ৫০,০০০-৫৫,০০০ এর মধ্যে শাহীওয়াল ষাড় কিনতে চান তাহলে বগুড়ার বুড়িগন্জ, ঘোড়াধাপ, মহাস্থান, ডাকুমারা, জয়পুরহাট, পাবনার চতুর্বাজার।
৩. বাজেট যদি ৫৫,০০০ টাকার উপরে হয় তাহলে অবশ্যই কুষ্টিয়ার আলমডাঙ্গার হাট, বাইল্যাপারা, চুয়াডাঙ্গার শিয়ালমারী উত্তম।
৪. শুধু গাভীন গাভী কিনতে চাইলে বগুড়ার দুপচাচিয়া থানার ধাপের হাট উত্তম।প্রতি রবিবার ও বৃহঃস্পতি বার।
৫. শুধু ইন্ডিয়ান বলদ ও নেপালী বড় বড় গরু কিনতে চাইলে অবশ্যই বেনাপোলের পুটখালী এবং সাতক্ষীরার বৈখালী যেতে হবে।
৬. যদি দেশী লাল বলদ গরু কিনতে চান তাহলে প্রতি শনিবার জয়পুরহাট।
৭. যদি শুধু দেশী বাছুর কিনতে চান তাহলে যেতে হবে চাঁপাই এর সোনাইচন্ডী ও তর্তিপুর হাট।
৮. মহিষ কিনতে হলে কুষ্টিয়ার আলমডাঙ্গা এবং চাঁপাই এর সোনাইচন্ডী হাট।
৯. যদি শুধু অষ্টেলিয়ান এবং ক্রস বাছুর কিনতে চান তাহলে পাবনার ঈশ্বরদীর অরনখোলার হাট। পুরা হাট ভরা শুধু ক্রস বাছুর।
১০. এছাড়া রাজশাহীর সিটি হাট, যশোরের সাতমাইল ভাল গরু আগে উঠত কিন্তু ভারতীয় গরু না আসাতে ওখানে এখন তেমন ভালো গরু উঠে না।
১১. কেউ যদি দেশী জাতের খাটো বুট্টী টাইপের গরু কিনতে চান তাহলে অবশ্যই দিনাজপুর এবং রংপুর এর হাট গুলো থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এই জাতের গরুর খামার খুব লাভবান কারন ২-৩ মাসের মধ্যে গরু বিক্রয় উপযোগী হয়ে যায়, খাবার কম লাগে, তাদের মুখে অনেক রুচি, রোগবালাই হয় না বললেই চলে, মধ্যবিও যারা একা কোরবানী দেয় তাদের জন্য। ৩ মাসের বেশী পুষলে লস কারন এগুলো সাইজে বড় হয় না শুধু মোটা হয়।
১২. আরসিসি গরু (RCC Cow) কিনতে হলে যেতে হবে চট্টগ্রাম এর সাতকানিয়া, আনোয়ারা উপজেলায়। এই জাতটা দীর্ঘমেয়াদের জন্যে ভালো।