ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : খুলনার বাগদা চিংড়ির যেমন বিশ্বব্যাপী সুনাম আছে তেমনি এই এলাকার চুঁইঝালের রয়েছে ব্যাপক কদর। আবার দেশের সর্বত্র সুন্দরবনের মধুর বিস্তর চাহিদা আছে। এই তিনটি পণ্যকে খুলনার ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ‘ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য নিবন্ধন : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা এই প্রস্তাব দেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) ও খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ডিপিডিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. ওবায়দুর রহমান। জিআই পণ্য নিবন্ধনের সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে উপস্থাপনা করেন ডিপিডিটির উপ-রেজিস্ট্রার মো. আজিম উদ্দিন।
সেমিনারে জানানো হয়, কৃষি, প্রাকৃতিক এবং তৈরিকৃত পণ্যকে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ আছে। জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত পণ্য কেবল নিবন্ধিত ব্যক্তি, সমিতি বা প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করতে পারবে। ফলে পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত হবে। কেউ ভেজাল বা নকল পণ্য উৎপাদন করতে পারবে না। নকল করলে আইন অনুয়ায়ী শাস্তি পেতে হবে। এছাড়া নিবন্ধিত পণ্য এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে বেগবান করবে, বিনিয়োগ বাড়াবে, বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। সভায় সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান, অতিক্তি জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউর রহমানসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।