সিলেট সংবাদদাতা: সিলেটের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদ্যানিকেতনের চেয়ারম্যান, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক ফরিদ বক্স বলেছেন, বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তরুণ প্রজন্ম শিক্ষিত হয়ে নিজেকে আলোকিত করলে সমাজ ও দেশ আলোকিত হবে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে আরো সম্মানজনকস্থানে পৌঁছে যাবে।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ সেবামূলক মনেবৃত্তি নিয়ে বিদ্যানিকেতন পরিচালিত হচ্ছে। এখানে অন্য স্কুলগুলোর তুলনায় খরচ কম, তবে শিক্ষার মান ও সুযোগ-সুবিধা উন্নত। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যানিকেতনের সাফল্য ঈর্ষণীয়। সকলের সহযোগিতা নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নগরীর পশ্চিম পাঠানপাড়ানস্থ বিদ্যানিকেতনের ক্যাম্পাসে সংবর্ধনা, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দ্বিতীয়বার সর্বোচ্চ করদাতার পুরস্কারপ্রাপ্তির সম্মাণার্থে ফরিদ বক্সকে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সম্মানতা স্মারক দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ও পরিচালক মো. অলিউর রহমান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শাখার প্রধান নুরুন্নাহার মিনা। বিদ্যালয়ের সার্বিক দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাহেলা খানম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (অব.) হাবিবুর রহমান চৌধুরী, শাবিপ্রবি’র গণিত বিভাগের প্রভাষক এস.এম. সাইদুর রহমান, সমাজসেবক সাবিক বক্স, নীলিমা হোসাইন, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও লন্ডন প্রবাসী মাহমদ আলী, বিশিষ্ট সংগঠক ও সমাজসেবক সেলিম আহমদ মিঠু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফাহিমা আক্তার ও রাসেদুল আমিন রাসেল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র শিক্ষক অচিন্ত্য ভট্টাচার্য, মিঠু বিশ্বাস, মাওলানা ইমরান আহমদ, হেপী বিশ্বাস প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। এর আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান, নৃত্য, আবৃতি ও নাটিকা পরিবেশন করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।