শহীদ আহমেদ খাঁন (সিলেট সংবাদদাতা): সারা দেশে সেচ ও পানি ম্যানেজমেন্ট পলিসির ডেভেলপমেন্ট এর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। সিলেটের নিম্ন অঞ্চলে ফসল রক্ষার জন্য যে বাঁধ দেওয়া হয়, তাতে অধিকাংশ এলাকায় বন্যা পানি ঢুকে না। তার সাথে মাছ, পলিমাটিও ঢুকে না। যার ফলে দিন দিন জমি উর্বরতা হারাচ্ছে। তাছাড়া পাহাড় কেটে পরিবেশ বিনষ্ট করা হচ্ছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রয়ারি) আইইউসিএন -এর আয়োজনে ‘ওয়াটারসেড ম্যানেজমেন্ট পলিসি এন্ড ডেভেলপিং ইম্পিমেনটেশন ফ্রেইমওয়ার্ক’ শীর্ষক কর্মশালায় উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন। সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ভবনের কনফারেন্স রুমে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, এসব বিষয়ে সতর্ক করতে ও প্রয়োজন ছাড়া বাঁধ ভেঙ্গে দিয়ে জমির উর্বরতা বাড়াতে ও মাছের পরিমাণ বাড়াতে প্রতিটি এলাকায় কর্মশালার আয়োজন করা হবে। পরিত্যক্ত জমিতে ফসল ফলানোর জন্য সরকার ও কৃষকের প্রতি উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান। যাতে সারা বছর পানির ব্যবহার করা যায়, সেজন্য শহর ও গ্রাম এলাকায় খাল, বিল, পুকুর যেগুলো ভরাট হয়ে গেছে সেগুলো খনন করার আহ্বান জানান এ সময় তাঁরা।
সিকৃবি প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহযোগী অধ্যাপক ড. ফুয়াদ মন্ডলের পরিচালনায় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সিকৃবি মাইক্রোবায়োলজী এন্ড ইউমিনোলজী বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. এটিএম মাহবুব ই-ইলাহী, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. পীযুষ কান্তি সরকার, মৎস্যবিদ্যা ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. নির্মল চন্দ্র রায়, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড, কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ সালাহ উদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুকুমার সাহা, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জি. মো. আকবর আলী, মনিপুরী যুব সমিতি সিলেটের সভাপতি ধিরেন সিংহ, টুলটিকর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মামুন হাসান, কৃষক প্রতিনিধি আব্দুস সালাম, মহিলা প্রতিনিধি আমিনা বেগম, স্থানীয় কমিউনিটি প্রতিনিধি সালাউদ্দিন স্বপন, সিকৃবির সেকশন অফিসার সাইফুল ইসলাম, আইইউসিএন এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এবিএম সারোয়ার আলম, প্রোগ্রাম এসিস্ট্যান্ট খন্দকার কাইয়ূম প্রমুখ।