নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিবছর ৭-৮ লাখ টন ডাল আমদানি কেনো করতে হচ্ছে? আন্তরিকতার সাথে কাজ করলে ডালের আমদানি নির্ভরতা রোধ করা যেতো। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক তার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি( এপিএ) সফল বাস্তবায়নের জন্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সবুজ বিপ্লবকে বেগবান করতে হবে। নতুন উদ্ভাবিত সরিষা ও ধানের জাত দিয়ে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সবাইকে মাঠে যেতে হবে, কৃষকের সাথে কথা বলতে হবে। শিল্প কারখানা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে যেখানে কৃষির বড় ভূমিকা থাকবে।
মাঠ পর্যায়ের উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষকের বাড়ী বাড়ী যেতে হবে। কোন কৃষক কি ফসল আবাদ করতে চায়, তার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কত জানতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে বলেই এই খাতের সাফলতা দৃশ্যমান। সরকারের অঙ্গিকার আমার গ্রাম আমার শহর। আমার গ্রাম, আমার শহরে’র অর্থ হল গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক রূপ অটুট রেখে শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়া। গ্রামের মানুষের আয় বাড়াতে হবে । উন্নত রাস্তাঘাট, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধিসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে আধুনিক শহরের সব সুবিধাদি দেয়ার মাধ্যমে বর্তমান সরকার প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ।
এপিএ সফলভাবে বাস্তবায়নে যারা/যাহারা সফল হয়েছেন তাদের অভিনন্দন জানান মন্ত্রী। এবারে এপিএ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট( ব্রি) প্রথম স্থান, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট( বিএসআরআই) ২য় এবং তুলা উন্নয়ন বোর্ড ( সিডিবি)৩য় স্থান অর্জন করে। পরে মন্ত্রণালয়ের এপিএ টিমকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান অনুষ্ঠানের সঞ্চলনা করেন। অনষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও দপ্তর সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।