বুধবার , জানুয়ারি ২২ ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় -কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন. মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর বাঙালি জাতি পাকিস্তানি শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করা শুরু করে। ২৫ মার্চ রাতে শুরু হয় পাকহানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুর গণহত্যা। ২৬ মার্চের সূচনালগ্নে পাকবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় অবরুদ্ধ স্বদেশ থেকে দখলদার বাহিনীকে বিতাড়িত করার মরণপণ লড়াই- মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে দেশ স্বাধীন না করলে আজ আমরা কোনোভাবেই নিজেদের স্বাধীন জাতি ভাবতে পারতাম না, পরাধীনতার শিকল হয়তো আমাদের আজও তাড়া করে বেড়াত।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডির ‘আবসর ভবনে’ বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী কল্যাণ সমিতি কর্তৃক সমিতির মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের দামাল ছেলেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীকে বিতাড়িত করার মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিনিয়ে এনেছেন। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা কখনও তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেননি।

মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের অহংকার। বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করছেন।  ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে সেজন্য মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার আহবান জানান। কিভাবে রাজাকার, আল-বদররা দেশে গণহত্যা-অগ্নিসংযোগ করেছে, তাও সঠিকভাবে জানতে পারবে। কাদের অবদানে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি তা জানতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশের স্বাধীনতা এনেছেন, পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাধীনভাবে বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করছেন। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল,আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ।

সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ হারুন পাশা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনিসুজ্জামান। আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা উপ- কমিটির চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ও মুক্তিযোদ্ধা মহসিন আলী সরকার, বীর প্রতিক। অনুষ্ঠানে তিনশত মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 3040 times!

Check Also

SAU Hosts Intern Orientation Program in collaboration with Square Agrovet

SAU Correspondent: Sher-E-Bangla Agriculture University (SAU) held the Intern Orientation Program 2023 for students entering …