শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

গাজরের যত গুণ

নাহিদ বিন রফিক: গাজর অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ মূলজাতীয় সবজি। কাঁচা ও রান্না উভয় অবস্থায়ই খাওয়া যায়। গাজর বেশ জনপ্রিয় এবং খেতে সুস্বাদু। দেখতেও চমৎকার।

পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, এর প্রতি ১০০ গ্রামে ১০৫২০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন রয়েছে। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মধ্যে আমিষ ১ দশমিক ২ গ্রাম, শর্করা ১২ দশমিক ৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৭ মিলিগ্রাম, চর্বি ০ দশমিক ২ গ্রাম, লৌহ ২ দশমিক ২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-বি ০ দশমিক ০৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ৬ মিলিগ্রাম এবং খাদ্যশক্তি আছে ৫৭ কিলোক্যালরি। এছাড়া গাজরের পাতায় ক্যারোটিন, আমিষ, শর্করা, ক্যালসিয়াম, চর্বি, লৌহ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি ও খাদ্যশক্তি রয়েছে যথাক্রমে ৫৭০০ মাইক্রোগ্রাম, ৫ দশমিক ১ গ্রাম, ১৩ দশমিক ১ গ্রাম, ৩৬০ গ্রাম, ৫ দশমিক ১ গ্রাম, ১০ গ্রাম, ০ দশমিক ০৬ মিলিগ্রাম, ৭৯ মিলিগ্রাম এবং ৭৭ কিলোক্যালরি।

সালাদ ছাড়াও গাজর দিয়ে তৈরি করা যায় স্যুপ, চপ, বড়া, হালুয়া, পায়েস আরো কত কি! নিরামিষভোজীদের কাছে গাজর অতি প্রিয়। কেবল খাদ্য হিসেবেই নয়, রূপচর্চায়ও এর তুলনা নেই। শরীরের রুক্ষ আর খসখসেভাব দূর করে, ত্বককে রাখে সজিব, সতেজ। এজন্য গাজর ছেঁচে রস বের করে সারা শরীরে মাখতে হবে। এভাবে কমপক্ষে ১৫/২০ মিনিট রেখে পরে গোসল করা উচিত। মুখ ও শরীরের কালো দাগ দূর করার জন্য গাজর কেটে শুকিয়ে গুঁড়ো করে এর সঙ্গে পরিমাণমতো ময়দা ও দুধের সর মিশিয়ে সাবানের ন্যায় ব্যবহার করতে হয়।

গাজরের আছে আরো গুণ। কাঁচা গাজর কৃমিনাশক। এছাড়া প¬ীহাবৃদ্ধি রোধ এবং আমাশয়ে বেশ কার্যকর। সস্তা, সহজলভ্য এ সবজি আমাদের কতটা উপকারে আসতে পারে একটু ভেবে দেখুনতো!

This post has already been read 2959 times!

Check Also

আন্তর্জাতিক ওয়ান হেলথ ডে উদযাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, …